প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
খোশ আমদেদ মাহে রমাদ্বান
অফুরন্ত রহমত ও বরকতে পরিপূর্ণ রমজান
রহমত, বরকত, নেয়ামত ও ফজিলতে পরিপূর্ণ মাহে রমজান। রমজানের ত্রিশ দিনকে নবী করিম (দঃ) তিন ভাগে ভাগ করেছেন। এর প্রথম ভাগ ১০ দিন হচ্ছে রহমত, দ্বিতীয় ভাগ ১০ দিন মাগফিরাত এবং শেষ ১০ দিন নাজাত তথা জাহান্নাম হতে মুক্তি লাভ। অর্থাৎ রমজানের ত্রিশ দিন সিয়াম সাধনার মাধ্যমে বান্দা দয়াময় আল্লাহর রহমত লাভে ধন্য হয়ে আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে ক্ষমা চাইবে। বান্দা যদি আল্লাহর ক্ষমা লাভে ধন্য হয় আর আল্লাহ যদি বান্দার প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন তাহলে সে বান্দা সৌভাগ্যবান। তার কপাল খুলে গেলো। তিনি মকবুল বান্দা হিসেবে আল্লাহর কাছে কবুল হয়ে গেলেন। তখন সে বান্দা আল্লাহর কাছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাইবে। আল্লাহ বান্দার প্রতি একান্ত দয়াপরবশ হয়ে তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন। তাই আগে আল্লাহর রহমত লাভে ধন্য হতে হবে এবং নিজে আল্লাহর মাগফুর তথা ক্ষমাপ্রাপ্ত বান্দা হতে হবে। এরপর রাহমানুর রাহীম তাঁর প্রিয় বান্দাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন।
রমজান মাসে একটি নফল ইবাদত অন্য মাসে ফরজ ইবাদতের সমতুল্য। আর একটি ফরজ ইবাদত অন্য মাসের সত্তরটি ফরজ ইবাদতের সমতুল্য। রমজান মাসের ইবাদতের প্রতিদান বা সওয়াবের কোনো সীমারেখা নেই। এ মাসে আল্লাহর রহমতের সকল দরজা খুলে দেয়া হয়। আর জাহান্নামের সকল দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। শয়তানকে জিঞ্জিরাবদ্ধ করা হয়। একদা হযরত মুসা (আঃ) আল্লাহর নিকট আরজ করলেন, হে মাবুদ! আপনি উম্মতে মোহাম্মদী (দঃ)-এর জন্যে ফজিলতের মাস হিসেবে কোন্ মাস নির্ধারিত করেছেন। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, আমি তাদের জন্যে রমজান মাস দান করেছি। হযরত মুসা (আঃ) আবারো আরজ করলেন, মাবুদ রমজান মাসের ফজিলত কী রূপ? আল্লাহ বললেন, সমগ্র সৃষ্টি জগতের উপর আমার যেরূপ শ্রেষ্ঠত্ব, রমজান মাসের শ্রেষ্ঠত্বও সেরূপ। এ মাসে যে রোজা রাখবে আমি তাকে সমগ্র জ্বিন, ইনসান ও যাবতীয় পশুপাখির ইবাদতের সওয়াব দান করবো। এ কথা শুনে মুসা (আঃ) আরজ করলেন, মাবুদ! আমাকেও উম্মতে মোহাম্মদীতে শামিল করে নাও। সুবহানাল্লাহ! আমরা কতো ভাগ্যবান। নবীগণের আরাধ্য যা ছিলো তা আমরা বিনা দরখাস্তেই পেয়ে গেলাম তথা আমরা উম্মতে মোহাম্মদী। তাই আমরা যেনো মাহে রমজানের সিয়াম সাধনা যথার্থভাবে করতে পারি, সে তাওফিক যেনো আল্লাহ আমাদের দেন।