সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২১, ১৮:৩৩

ভাত-কাপড় চাইনা, জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন করে দিন

মোঃ আবদুর রহমান গাজী
ভাত-কাপড় চাইনা, জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন করে দিন

এখন বর্ষা কাল। নিয়মিতই বৃষ্টি হয়। আর বৃষ্টির পানি জমে রুপ নিয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতায়। পানি নিষ্কাশনের নাই কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা। আমরা গরীব বলে আমাদের দুঃখ-কষ্ট কেউ বুঝে না। প্রতিবছরই পৌরসভার টেক্স দেই। বিশুদ্ধ পানি, রাস্তা ঘাট, গ্যাস সরবরাহ, পানি নিষ্কাশন সহ পৌরসভার বিভিন্ন সুবিধা থেকে আমরা রয়েছি বঞ্চিত। এ ভাবেই কথা গুলো বলতে লাগলেন একাধিক ভুক্তভোগী নারী চাঁদপুর কণ্ঠকে।

সরজমিনে গিয়ে দেখি যায়, চাঁদপুর পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ডের জিটি রোডস্থ (উওর) সামু গাজী বাড়ি এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ির মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে মরহুম ওয়ালী উল্লাহ পাটওয়ারী, মরহুম শওকত আলী ছৈয়াল, মরহুম আবু বেপারী ও মরহুম ফজল খান বাড়ির প্রায় ৩'শ পরিবার জলাবদ্ধতায় পড়ে আছেন। ছৈয়াল বাড়ির কোহিনুর বেগম জানান, আজ ৩ মাস হয়ে গেছে বৃষ্টির জমে যাওয়া পানি নিস্কাশন হয় না। আমাদের মাটির ঘর। খুব কষ্ট হচ্ছে আমাদের। পাটওয়ারী বাড়ির রাবেয়া বেগম জানান, আমাদের বাড়ির বেশির ভাগ টয়লেটই চাক্কি দিয়ে করা। বৃষ্টির জমে থাকা পানির সাথে টয়লেটের লাইন মিলে গেছে। রফিকুল ইসলাম পাটওয়ারী জানান, এখন আগস্ট মাস। এ মাসে ডেঙ্গু মশার লাভা জন্মায়। পানি জমে রাস্তা-ঘাট শেওলা পড়ে গেছে। জমে থাকা পানি নিষ্কাশন এখন জরুরী হয়ে গেছে। এ বিষয়ে কাউন্সিলরকে বলছি, এখনও কোনো কাজ হয়নি। মিজান বেপারী জানান, পৌরসভার টেক্স দিলেও সেবা মিলে না। লোধ কাঁদায় একাকার হয়েগেছে বাড়িঘর। পৌরসভার কাছে ভাত-কাপড় চাইনা, জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন করে দিন। আনোয়ার হোসেন মিজি জানান, এখানে বেশ কয়েকটি বাড়ি আছে। সে সকল বাড়িতে বৃষ্টির পানি, বাসা-বাড়ির অবশিষ্ট পানি জমে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। ছোট ছোট বাচ্চা গুলো ঘর বন্দি হয়ে আছে। অনেকেরেই শরিরে দেখা দিয়েছে চর্ম রোগ। মোঃ দেলোয়ার খান জানান, যার যার সুবিধা মতো পুকুর, ডোবা নালা ভরাট করে ফেলেছে। যার কারণে বৃষ্টি হলেই পানি জমাট বেঁধে যায়। এখন এ এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা জরুরী হয়ে পড়েছে।

যুবলীগের ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ পাটওয়ারী জানান, ৫'শ ফুট লম্বা একটি ড্রেনের অভাবে ৩'শ পরিবার মাস খানেক ধরে জলাবদ্ধতায় ভুগতেছেন। বিষয়টি আমি চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি। তিনি আমাকে আস্বস্ত করেছেন। আগামী অর্থবছরে এ ড্রেনের কাজ করা হবে। এখন তাৎক্ষণিক ভাবে পানি সরাতে কাউন্সিলরের সাথে আলাপ করেছি।

এ বিষয়ে চাঁদপুর পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এডভোকেট মোঃ কবির হোসেন চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি ওই সকল বাড়ির প্রত্যেক ঘরে ঘরে গিয়ে দেখেছি। আসলেই তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এখন তো বর্ষার সময়। এ সময় পৌরসভা থেকে বরাদ্দ দিয়ে ড্রেনের কাজ করা খুব কঠিন। তবে আগামী অর্থ বছরে মেয়র মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করে সেটি আগে করা হবে। বর্তমান সমস্যা নিরসনে মাসুদ পাটওয়ারীর সাথে আলাপ হয়েছে। আলাদা মেশিন লাগিয়ে পানি নিষ্কাশন করে জলাবদ্ধতা নিরসন করা যায় কিনা সেটা দেখছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়