প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৩, ১৯:৫২
লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাতের ময়দান
গতকাল পবিত্র হজ উদ্যাপিত হয়েছে। লাব্বাইক লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত হয় আরাফাতের ময়দান। সবার মুখেই ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নিয়ামাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাকা’। আমি হাজির, হে আল্লাহ! আমি হাজির। আমি হাজির, আপনার কোনো শরিক নেই। আপনার মহান দরবারে হাজির। নিশ্চয়ই সব প্রশংসা, নিয়ামত সব রাজত্ব আপনারই। আপনার কোনও শরিক নেই। গতকাল ৯ জিলহজ মঙ্গলবার এ তালবিয়া পাঠ করতে করতে লাখ লাখ হাজি আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হন এবং যতক্ষণ আরাফাতের ময়দানে ছিলেন শুধু এ তালবিয়াই মুখে ছিল। এর দ্বারা হজের দ্বিতীয় রুকন আদায় করা হলো।
|আরো খবর
৯ জিলহজ (সৌদি আরবের স্থানীয় সময়) আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের দিনকেই হজের দিন বলা হয়। এ দিনের নাম ইয়াওমুল আরাফা। সারা বিশ্বের প্রায় ২৬ লাখ মানুষ এবার হজে অংশ নিয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, জোহরের নামাজের আগে আরাফাত ময়দানের মসজিদে নামিরার মিম্বরে দাঁড়িয়ে হাজীদের উদ্দেশ্যে হজের খুতবা দেয়া হয়। এই খুতবায় আল্লাহভীতি ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ব্যাপারে কথা বলা হয়। মঙ্গলবার হওয়ায় জুমার নামাজের আগে দেয়া হয় এই খুতবা। আরবিতে দেয়া হয় এই খুতবা। তবে এবার বাংলা ছাড়া বিভিন্ন ভাষায় হজের খুতবা ভাষান্তর করে তা সম্প্রচার করা হয়।
জোহর ও আসরের নামাজ এক সঙ্গে আরাফাতের ময়দানে আদায় করেন হাজিরা। এরপর সেখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করেন। সূর্যাস্তের পর হাজিরা আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করে যাত্রা করেন মুজদালিফার উদ্দেশ্যে। সেখানে তারা এক আজানে আদায় করেন মাগরিব ও এশার নামাজ।
আরাফাতের ময়দানেই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা হয়। এ ময়দানেই মানবতার মুক্তির দূত মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন।
আরাফাতের দিনের ফজিলত ও তাৎপর্য অপরিসীম। এ দিনকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন, আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত এবং গুনাহ থেকে পরিত্রাণের দিন হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।