রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২২, ০০:০০

২৮ বছর ধরেই আছি

কাজী শাহাদাত

২৮ বছর ধরেই আছি
অনলাইন ডেস্ক

সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তীতুল্য সাংবাদিক-কলাম লেখক, একুশের গানের অমর স্রষ্টা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীসহ বাংলাদেশের খ্যাতিমান সকল সাংবাদিকই তাঁদের কর্মক্ষেত্র তথা পত্রিকা বারবার পরিবর্তন করেছেন এবং পেশাগত জীবনে অসামান্য প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন। আমি খ্যাতিমান নই বলেই তাঁদের মতো এ কাজটি করতে পারিনি। যার ফলে ১৯৯৪ সালের ১৭ জুন থেকে চাঁদপুর কণ্ঠের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আছি এবং বিগত ২৮ বছর ধরে লাগাতার ভাবেই আছি। প্রথমে নির্বাহী সম্পাদক, তারপর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং প্রায় সাড়ে ২৩ বছর ধরে প্রধান সম্পাদক।

কেনো আছি এতোদিন ধরে একই পত্রিকায়-এ প্রশ্নের উত্তর একটাই এবং সেটি হচ্ছে পত্রিকাটির প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা। শরৎচন্দ্রের ভাষায় এই ভালোবাসাকে ‘বড় প্রেম’ই বলা যায়। অতীতে বার বার এমনটি ভেবে ভয় হয়েছে, ‘বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলিয়া দেয়’। পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে হাজার শোকরিয়া এজন্যে যে, ২৮ বছর সময় অতিক্রান্ত হলেও চাঁদপুর কণ্ঠের প্রতি ‘বড় প্রেমে’র দায়ে এখনো প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ¦ অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশার আমাকে ‘দূরে ঠেলিয়া দেন নাই।’

এ দীর্ঘ সময়ে মানসিক দ্বন্দ্ব ও কোনো প্রতিকূলতার মুখোমুখি যে হইনি-এটা বললে ভুল হবে। আত্মতৃপ্তি এইখানে যে, সকল কিছু মোকাবেলা করে ‘কালো মানিক’রূপী সম্পাদক মহোদয়ের আত্যন্তিক স্নেহে ও তাঁর প্রদত্ত স্বাধীনতায় চাঁদপুর কণ্ঠ ছেড়ে এক মুহূর্তের জন্যেও কোথাও যাইনি। তিনি তাঁর মালিকানাধীন পত্রিকাটিকে নিজের স্তূতিপত্র, কোনো দল বা গোষ্ঠীর মুখপত্রে পরিণত করতে কক্ষণো আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করেন নি। নিরপেক্ষ সম্পাদকীয় নীতিতে পত্রিকাটি প্রকাশের ক্ষেত্রে তাঁর প্রণোদনা নিঃসন্দেহে অতুলনীয়। প্রায় ৭০ বছর বয়সেও আইন পেশার মাধ্যমে জীবিকার্জনে লিপ্ত এ মানুষটি পত্রিকা চালাতে গিয়ে সস্ত্রীক উপর্যুপরি ভর্তুকি দিয়েছেন, পত্রিকা তহবিল থেকে টাকা নিয়ে একদিনের জন্যেও সংসারের ব্যয় নির্বাহ করেন নি। এমনটি বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদকদের মধ্যে তাঁকে বিরল মহিমায় উদ্ভাসিত করেই রাখবে। ২৮ বছর পূর্তির এ শুভ দিনে সুস্থতার সাথে তাঁর নেক হায়াত প্রত্যাশা চাঁদপুর কণ্ঠ পরিবারের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিজন সদস্যেরই কাম্য।

আমার জীবনের অধ্যায় এখন বার্ধক্যে। জানি না কতোদিন বাঁচি। তবে একটা ইচ্ছা পোষণ করি, অন্তত পত্রিকাটির ৩০ বছর পূর্তি উৎসবটা যাতে করে যেতে পারি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়