প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২২, ১৯:০৪
বিষ্ণুপুরে এসব কি হচ্ছে?
প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে অবাধে ধরছে জাটকা ইলিশ ! (দেখুন ভিডিওক্লিপ)
চাঁদপুর সদর ১ নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ড মধ্যেমছড়ি মুক্তি পল্লী খালে গত ২৯ মার্চ রাত ৮ টায় গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি মাছ ধরার ট্রলার। প্রতি ট্রলারে ৫/৯ জন করে জেলে খালের পারে ট্রলার রেখে কারেন্ট জাল থেকে জাটকা ইলিশ খুলছে। প্রতি ট্রলারে প্রায় ২০০/৩০০কেজি করে জাটকা মাছ রয়েছে।
|আরো খবর
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক সচেতন ব্যক্তি জানান এখানে প্রতিনিয়ত এভাবেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা মাছ ধরে এখানে নিয়ে এসে নিরাপদে কারেন্ট জাল থেকে মাছ সংগ্রহ করেন। এখানে প্রতি নিয়ত কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এ ধরনের জঘন্যতম অপরাধ করে থাকেন।
জানা যায় খাসকান্দি মধ্যমছরি গ্রামের ডায়মন্ড, কামাল ও সিধামের ট্রলার দিয়ে প্রতিনিয়তই জাটকা মাছ ধরছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মোঃ খোরশেদ, নাজমুল, মাসুদ, জাফর, মাঝি রুবেল,সহ আরো অনেকেই কারেন্ট জাল থেকে জাটকা মাছ খুলছেন।
এ ব্যাপারে এলাকার সচেতন মহল বলেন গত কয়েকদিন পূর্বে লাভ লালপুর ঘাট থেকে চারজনকে ধরে নিল তারা তারা ভয় পায়নি। এ ব্যাপারে সচেতন মহল মনে করেন ১ নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জোরালোভাবে তদারকি করলেই একমাত্র জাটকা ধরা ও বিপণন করা বন্ধ হবে অন্যথায় কোন মতেই সম্ভব না বিষ্ণুপুর থেকে জাটকা নিধন বিক্রি বন্ধ করা।
মেঘনা নদী থেকে জেলেরা মাছ ধরে এনে লালপুর মাছ ঘাট, কানুদি মাছ ঘাট, দাসাদী মাছ ঘাটে তারা বিক্রি করে থাকেন। মেঘনা নদী থেকে ভোররাতে, সকাল১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত এবং মাগরিব নামাজের পর থেকে থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত মাছ ধরে এনে এই স্থানগুলোতে জেলেরা বিক্রি করেন কোস্টগার্ড যদি এই সময়গুলোতে নদীতে এবং মাছ ঘাট গুলোতে অভিযান চালান তাহলেই একমাত্র মাছ ধরা এবং বিক্রি বন্ধ করা সম্ভব হতে পারে বলে এলাকাবাসী আমাদের এ প্রতিনিধিকে জানান।