শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:১০

চাঁদপুর শহরে এবার ধরা পড়লো পিকআপ ভর্তি ৬শ' কেজি জাটকা, আটক ২

স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর শহরে এবার ধরা পড়লো  পিকআপ ভর্তি ৬শ' কেজি জাটকা, আটক ২

পূর্ণাঙ্গ ইলিশে পরিণত হওয়ার সুযোগ দিতে প্রতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত আট মাস জাটকা আহরণ ও কেনাবেচা নিষিদ্ধ থাকে। একই উদ্দেশে অভয়াশ্রমে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দু মাস সব ধরনের মাছ আহরণও নিষিদ্ধ থাকে। তবে দুটি নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে চলছে জাটকা নিধন। নদী থেকে জাটকা আহরণের পর চাঁদপুর শহরের পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঢুকে দেদারছে জাটকা বিক্রি হয়েছে এবার ব্যাপক। নদী পথে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় সরবরাহ করা হয়েছে প্রকাশ্যেই।

যদিও জাটকা ধরা বন্ধে মাঠে রয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড। তারপরও বন্ধ হয়নি জাটকা নিধন, পরিবহন ও বিপণন। এবার মতলবে নৌ পথে পাচারকালে মণে মণে জাটকসহ বেশ কয়েকটি জাটকার চালান জব্দ করা হয়েছে। সড়ক পথে প্রথম জাটকার চালান ধরা পড়েছে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল ২০২৫) রাতে খোদ চাঁদপুর জেলা শহরের একটি রাস্তায়। বঙ্গবন্ধু সড়কে পিকআপ ভর্তি ৬শ' কেজিরও অধিক জাটকাসহ দুজনকে আটক করেছে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ। শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদ পেয়ে চাঁদপুর শহরের মিশন রোড থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন : মাছ নিয়ে যাওয়া ব্যক্তি মোস্তফা গাজী ও পিকআপ চালক আনোয়ার শেখ।

জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিণা এলাকা থেকে ঢাকা মেট্রো-ন ১৯-৮৮৮৯ নম্বরের একটি পিকআপ ভ্যানে করে জাটকা মাছ গুলো শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক দিয়ে চাঁদপুরের বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। গোপনে এই তথ্য পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার এসআই মো. আওলাদ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে মিশন রোড মোড়ের বঙ্গবন্ধু সড়কের অভিমুখ থেকে তাদেরকে আটক করেন।

পরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ হক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের

দু জনকে সর্বমোট ৫ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করেন এবং একজনকে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।

জব্দকৃত মাছগুলো জেলা প্রশাসকের নির্দেশে স্থানীয় একটি কোল্ড স্টোরেজে নিয়ে রাখা হয়।

পরবর্তীতে সেগুলো হতদরিদ্র অসহায় গরীব ও এতিমখানায় দেওয়া হবে বলে জানায় পুলিশ।

পর্যবেক্ষক মহলের মতে, এবার নিষিদ্ধ পুরো সময়ে চাঁদপুরের নদ-নদীতে ব্যাপক হারে জাটকা নিধন হয়েছে। এবার ইলিশ মৌসুমে এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অভিজ্ঞ মহল বলছে,

বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ। এটা শুধু আমাদের পছন্দের খাবারই নয়, বরং হাজারও জেলের জীবন-জীবিকার মাধ্যমও। ইলিশ শুধু একটি মাছই নয়, এই মাছ হচ্ছে বাঙালির আবেগ, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং অর্থনীতির প্রতীক। কিন্তু এই মাছের ওপর নির্ভর করে দেশের অর্থনীতির একটি বড়ো অংশ। প্রতিদিন ভোর হলেই জেলেরা মেঘনা নদীতে ছুটে যায় মাছ ধরার আশায়। জাল ফেলেন নদীতে। আর মনে মনে অপেক্ষা করেন রূপালি ইলিশ ধরা পড়বে অনেক। একসময় জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়তো। কালের আবর্তে ইলিশ যেন হারিয়ে যাচ্ছে। এর বড়ো কারণ হচ্ছে জাটকা নিধন। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে চলেছে জাটক ধরার মহোৎসব। এসব জাটকা জেলেরা প্রকাশ্যে বিভিন্ন হাট-বাজারে এবং শহরের পাড়া-মহল্লায় অবাধে বিক্রি করছে। কিন্তু এমনটি হওয়ার কথা ছিলো না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়