প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৫, ১২:২৩
স্ত্রীর জানাজা আর দাফনে অংশ নিতে পারেননি গাজী মাঈনুদ্দিন

রাজনীতি থাকলে রাজনীতির প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হবে এটা স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু কিছু নিয়ম দলমত সব কিছুকে ছাপিয়ে বুকে এমনভাবে বিঁধে, যা জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত মানুষকে কঠিন থেকে কঠিনতর যন্ত্রণায় কাঁদায়। যে কাঁদা সৃষ্টিকর্তা ছাড়া অন্য কেউ অনুধাবন করার কোনো সুযোগ নেই। তেমনি এক জীবনে চলে গেলেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামীলীগের হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেযারম্যান গাজী মাঈনুদ্দিন। সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঈগল প্রতীকে নির্বাচন করা গাজী মাঈনুদ্দিন স্ত্রীর জানাজায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। এমনকি ভালোবেসে বিয়ে করা স্ত্রীকে নিজ হাতে মাটি (দাফন) দিতে আসতে পারেননি। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই তিনি হাজীগঞ্জ ছাড়া। মূলত রাজনৈতিক হয়রানি কিংবা আইনগত ঝুঁকি এড়াতে তিনি হাজীগঞ্জে আসতে পারেননি বলে তার পারিবারিক সূত্র জানায়।
|আরো খবর
এদিকে একাধিক সূত্র জানায়, এদিন হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে মরহুমার জানাজায় বাড়তি কোনো মুসল্লি অংশ নিতে দেখা যায়নি। কিন্তু গাজী মাঈনুদ্দিন কিংবা তার দল আওয়ামীলীগের সেই স্বর্ণসময় যদি থাকতো, তাহলে এ জানাজায় পুরো মসজিদ ছাপিয়ে সামনে মাঠ ভরে যেতো মুসল্লিদের অংশগ্রহণের কারণে।
গাজী মাঈনুদ্দিনের পারিবারিক সূত্র জানায়, গত শুক্রবার (১৩ জুন, ২০২৫) দিবাগত রাত ১০টা ১৫ মিনিটে গাজী মাঈনুদ্দিনের স্ত্রী সুফিয়া শবনম রাজধানীর মিরপুরস্থ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শনিবার (১৪ জুন ২০২৫) বাদ জোহর হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে মসজিদ কমপ্লেক্সের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তিনি ছিলেন কুমিল্লা শহরের মেয়ে।