সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫  |   ২৯ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৫, ১৮:২৪

রামচন্দ্রপুর গ্রামে ১ যুগেও সরকারিভাবে সংস্কার হয়নি জংশর খান বাড়ির রাস্তা

সোহাঈদ খান জিয়া।।
রামচন্দ্রপুর গ্রামে ১ যুগেও সরকারিভাবে  সংস্কার হয়নি জংশর খান বাড়ির রাস্তা

উন্নয়নের ছোঁয়া পায় নি জংশর খান বাড়ির রাস্তা। ১ যুগেও এ রাস্তায় সরকারিভাবে কোনো মাটি ফেলা হয়নি।

চাঁদপুর সদর উপজেলার  বাগাদী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর (মমিনপুর)  গ্রামের হাফেজ রফিকুল ইসলাম খানের বাড়ি হতে জংশর খান বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটিতে ১ যুগেও সরকারিভাবে মাটি ফেলা হয়নি।

এ রাস্তা দিয়ে গ্রামের কৃষক ও কয়েকটি বাড়ির লোকজন চলাচল করে থাকে। রাস্তায় মাটি না ফেলার কারণে বিভিন্ন স্থানের মাটি বৃষ্টি হলে ও বর্ষাকালে ধুয়ে চলে যায়। আর স্থানে স্থানে গর্ত হওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে থাকে।  এ রাস্তা দিয়ে বহু লোকজন চলাচল করে থাকলেও রাস্তার উন্নয়নমূলক কাজ করা হচ্ছে না।

বর্ষা মৌসুমে পানি উঠে  হাঁটু পরিমাণ পানির নিচে   রাস্তার কিছু কিছু অংশ তলিয়ে যায়। এ পানি ডিঙ্গিয়ে কোমলমতি শিশুরা সকালে মক্তবে আরবি পড়তে যাওয়াসহ বিদ্যালয়ে যেতে হয়।অনেক শিশু সাঁতার না জানার কারণে মক্তব ও বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেয় তাদের বাবা- মা। কেননা কখন আবার রাস্তার পাশে থাকা পুকুরে বা নিচু জায়গা পানিতে ডুবে যায়। অনেক শিশুকে মক্তবে ও বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে চিন্তিত থাকেন তাদের বাবা-মা।

অপরদিকে রাস্তার দু পাশে থাকা কিছু বসতঘর ও বাউন্ডারি দেওয়াল রাস্তার দিকে চাপিয়ে তোলার কারণে রাস্তা সরু হয়ে গেছে। 

সরজমিনে দেখা যায়, রাস্তার বিভিন্ন স্থানের গর্তগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। একটি অটোবাইক ভেতরে প্রবেশ করতে কষ্ট হচ্ছে। পুরো বর্ষা মৌসুমে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে থাকে। কিছু বসতঘর ও বাউন্ডারি দেওয়াল রাস্তার দিকে চাপিয়ে করায় সরু হয়ে গেছে। রাস্তাটি দিয়ে কয়েকটি বাড়ির লোকজন ছাড়াও রামচন্দ্রপুর গ্রামের কৃষকগণ চলাচল করে থাকে। এমনকি পুরো গ্রামের লোকজন বিভিন্ন প্রয়োজনে এ রাস্তা ব্যবহার করে থাকে। 

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী স্থানীয় লোকজন জানান, ১ যুগেও এ রাস্তায় সরকারিভাবে কোনো মাটি ফেলা হয়নি। যখনই রাস্তায় মাটি ফেলা হয়েছে অথবা ইট বা ইটের সুরকি ফেলা হয়েছে,  চলাচলকারী কয়েকটি বাড়ির লোকজনই তা ফেলেছে। ১ বছর সরকারিভাবে ৩০-৪০ হাজার টাকার প্রকল্পে যৎসামান্য  মাটি কেটে বাকি টাকা প্রকল্প কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে আত্মসাৎ করে কাজের ঠিকাদার। তাছাড়া আর সরকারিভাবে কোনো মাটি কাটা হয়নি। প্রায় ১৮-২০ বছর পূর্বে এ রাস্তায় মাটি কাটতে গিয়ে জনৈক ইউপি সদস্যকে জরিমানা গুণতে হয়েছে।

রাস্তাটি সংস্কার বা উন্নয়নের জন্যে কেউ এগিয়ে আসছে না। এ রাস্তায় মাটি না কেটে প্রতি বছর একই রাস্তায় মাটি কাটা হয়েছে। কিন্তু  এ রাস্তাটি অযত্নে-অবহেলায় পড়ে আছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টিতে সরজমিন তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিবেন বলে এলাকাবাসীর দাবি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়