প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিস্ময়
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম
যুদ্ধ বিধ্বস্ত ও ধ্বংসস্তূপের বাংলাদেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করে বিশ্বকে তাক লাগিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এ কথা বলেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, স্বাধীনতার সময় দখলদার বাহিনী বাংলাদেশের অবকাঠমোসহ সব জায়গা ধ্বংস করে দেয়। তাই যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনরুদ্ধার করতে অল্প সময়ে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যুদ্ধ পরবর্তী বিধ্বস্ত বাংলাদেশে ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে এসে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্যে দেশ পুনর্গঠনে ২১ দিনের মধ্যে পরিকল্পনা কমিশন তৈরি করেন। অত্যন্ত শক্তিশালী পরিকল্পনা কমিশন করেছিলেন অর্থনীতিবিদদের নিয়ে। যা ভারত তিন বছর পর, পাকিস্তান ছয় বছর পর করেছিল। ২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এসব কথা বলেন।
|আরো খবর
তিনি দেশের উন্নয়নে কতোটা গুরুত্ব দিয়েছিলেন এ ব্যবস্থা গ্রহণ দেখলেই বুঝা যায়। সংবিধান তৈরি, নির্বাচন প্রদান, বিএডিসি, রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটসহ অনেক প্রতিষ্ঠান সাড়ে তিন বছরে গড়ে তুলেছিলেন তিনি। কৃষিক্ষেত্রে যে বিপ্লব তার ভিত্তি বঙ্গবন্ধুই গড়েছিলেন। কাজেই পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় আমূল পরিবর্তন আসে বাংলাদেশে। বঙ্গবন্ধুর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার পথ ধরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৯০ ডলার থেকে ২৫৫৪ ডলারে এসে গেছে। দারিদ্র্য ৮৪ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। দেশ দরিদ্র থেকে উন্নয়নশীল হয়েছে। তার মধ্যে গত ১৩ বছরে যে অর্জন তা বিস্ময়কর। অনেক দূরে নিয়ে গেছি আমরা দেশকে। অগ্রগতিকাল বলা যায় একে। কারণ ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কাজেই ৭২ সালের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। এক কথায় সবসূচকে অগ্রগতি হয়েছে দেশের। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম হয়ে গেছে।
ড. শামসুল আলম বলেন, ২০০৫ সালে দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থাকলেও বর্তমানে তা ২০-এ নেমে এসেছে। হতদরিদ্রও অর্ধেকে কমে ১০ শতাংশে এসেছে। রিজার্ভ বেড়েছে অকল্পনীয়, ৫০ বিলিয়ন ডলার ছুঁইছুঁই করছে। সব মিলিয়ে বলা যায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিস্ময়।
ড. শামসুল আলম বলেন, আমরা থেমে নেই। উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করা হচ্ছে। রূপকল্প-২০২১ প্রণয়ন করে ২০৩১-এর মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ ও ৪১ সালে উন্নত দেশে উন্নত হবো। ১০০ বছরের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে ব-দ্বীপ পরিকল্পনায়। কাজেই বলা যায় ২০২৫ সালে দুই অংকের অর্থাৎ ১০ শতাংশের প্রবৃদ্ধিতে পৌঁছাতে পারবো।