শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

ইলিশ উৎসবের ১৩ বছর : এক বিরল রেকর্ড

কাজী শাহাদাত

ইলিশ উৎসবের ১৩ বছর : এক বিরল রেকর্ড
অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুরের সংস্কৃতি অঙ্গনে ইলিশ উৎসব একটি বহুল পরিচিত, জনসমাদৃত ও আলোচিত উৎসবের নাম। ২০০৯ সালে এমন একটি উৎসব করার বিষয় মাথায় আসে চাঁদপুর জেলা শহরের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক সংগঠন চতুরঙ্গের মহাসচিব হারুন আল রশীদের। তিনি তাঁর সংগঠনের কর্ণধার অ্যাভোকেট বিনয় ভূষণ মজুমদারসহ অন্য সকল কর্মকর্তা, বিশেষ করে উপদেষ্টাদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন এবং এ উৎসব নিয়ে অগ্রবর্তী হবার পরামর্শ দেন। এতেই হারুন আল রশীদ উদ্দীপ্ত হন এবং স্বীয় সাংগঠনিক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে ২০০৯ সালেই প্রথম ইলিশ উৎসব আয়োজনের আয়াসসাধ্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। শুরু হলো উৎসবের যাত্রা। দেশের খ্যাতিমান কর্পোরেট সংস্থা ও স্থানীয় পর্যায়ে সুপ্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের স্পন্সর জোগাড় করে এবং সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা গ্রহণ করে হারুন আল রশীদ ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১২টি ইলিশ উৎসবের আয়োজন অত্যন্ত সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করেন। আর মুখিয়ে থাকেন উৎসবের ১৩তম আসর আয়োজনের জন্যে। কিন্তু মহামারী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এমন আসর আয়োজনে চরম চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। যেটা নিঃসন্দেহে তৈরি করে দুর্ভাবনা।

করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় অবশেষে আজ ২ অক্টোবর ২০২০ শনিবার চাঁদপুরে চতুরঙ্গ কর্তৃক ইলিশ উৎসব আয়োজনের যুগপূর্তি শেষে পাঁচ দিনব্যাপী ত্রয়োদশ আসর আয়োজনের রেকর্ডটি অর্জিত হতে যাচ্ছে। এজন্যে আমরা সংশ্লিষ্ট সকলে সত্যিই কৃতার্থ। ভালোয় ভালোয় ৬ অক্টোবর ইলিশ উৎসবটি সম্পন্ন করতে পারলে চতুরঙ্গ শুধু নয়, চাঁদপুরের সংস্কৃতি অঙ্গন অতিক্রম করবে এমন এক মাইল ফলক, যা অন্য কোনো উদ্যোক্তার অতিক্রম করা হবে সুদূর পরাহত।

আমার আত্মশ্লাঘা ইলিশ উৎসবকে ঘিরে এটাই যে, আমি ১৩ বছর ধরে উৎসবটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছি। উৎসবের সাথে সংশ্লিষ্ট এর রূপকার হারুন আল রশীদসহ অন্যদের অহংবোধের জায়গা হলো, এই উৎসবে ২০১৬ সালে যোগদান করেই তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুস সবুর মন্ডল চাঁদপুর জেলাকে ইলিশের নামে ব্র্যান্ডিং করার পরিকল্পনা মাথায় আনেন। সেমতে চাঁদপুরের সরকার স্বীকৃত নাম হয়ে যায় বাংলায় 'ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর' আর ইংরেজিতে 'চাঁদপুর দি সিটি অব হিলশা'।

যে কোনো কষ্টকর আয়োজন এবং এর পেছনে নিরলস আত্মনিবেদন যে কোনো না কোনো ভালো ফল বয়ে আনে সেটা চাঁদপুরকে ইলিশের নামে ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।

ইলিশ উৎসবের জন্মলগ্ন থেকে আমাদের একটি দাবি হচ্ছে এই যে, জাতীয় মাছ ইলিশের নামে জাতীয় পর্যায়ের ইলিশ উৎসবের আয়োজন করা হোক চাঁদপুরে। আমরা বেসরকারিভাবে যে আয়োজন শুরু করলাম, এটা সরকারিভাবে জাতীয় পর্যায়ের মান নিয়ে প্রতি বছর আয়োজিত হতে থাকলে রপ্তানিযোগ্য ইলিশ সম্পদ রক্ষায় ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি হবে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইলিশ উৎসব আয়োজনের তাগিদ তৈরি হবে। আমাদের দাবির প্রতি সহমত পোষণ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পত্র লিখেছেন চাঁদপুরের দুজন জেলা প্রশাসক। এঁদের একজন প্রিয়তোষ সাহা, অপরজন ইসমাইল হোসেন। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, চাঁদপুর সদরের পরপর তিনবার নির্বাচিত এমপি, সাবেক সফল পররাষ্টমন্ত্রী, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি মহোদয় উদ্যোগ নিলে জাতীয় পর্যায়ের ইলিশ উৎসব চাঁদপুরে করা সম্ভব। আমাদের এ বিশ্বাসের অনুকূলে অবশ্যই সাড়া মিলবে বলে আমরা বিপুলভাবে আশাবাদী।

সশীরের কিংবা ভার্চুয়ালি ডাঃ দীপু মনি ১৩তম ইলিশ উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন বলে আমরা আশাবাদী। আমরা তাঁর প্রতি অপরিসীম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

ইলিশ উৎসবের যুগপূর্তির পর ১৩তম উৎসব আয়োজন উপলক্ষে আমরা সংস্কৃতিমনস্ক সমগ্র চাঁদপুরবাসী এবং সব ধরনের পৃষ্ঠপোষক ও শুভাকাক্সক্ষীদের প্রতিও আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই।

সবাই নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদ থাকুন, সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

লেখক : প্রধান সম্পাদক, দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠ ; মহাপরিচালক সহিত্য একাডেমী, চাঁদপুর; সাবেক সভাপতি, চাঁদপু প্রেসক্লাব ও সনাক, টিআইবি, চাঁদপুর।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়