বুধবার, ০৯ জুলাই, ২০২৫  |   ২৫ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৫, ১৭:৪৪

ভুলে ভরা এনআইডি সংশোধনে হিমশিম খাচ্ছে শাহরাস্তি নির্বাচন অফিস

মো. মঈনুল ইসলাম কাজল
ভুলে ভরা এনআইডি সংশোধনে হিমশিম খাচ্ছে শাহরাস্তি নির্বাচন অফিস

জন্মনিবন্ধন, সার্টিফিকেট ও তথ্য সংগ্রহকারীর তথ্য একটির সাথে অন্যটির মিল নেই। এমনকি জন্মনিবন্ধন ও সার্টিফিকেটের সাথে রয়েছে বেশ গরমিল। তথ্য সংগ্রহকারীর তথ্যের সাথে জন্মনিবন্ধন ও সার্টিফিকেটর নামেও রয়েছে অনেক ফারাক। কী তথ্য সংগ্রহ করেছেন তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার--এখন এটাই প্রশ্ন শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার।

জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্যে ২৫ জানুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে। ৬ মার্চ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত শাহরাস্তিতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ছবি তোলা হয়। ইতোমধ্যে সবাই ভোটার তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন ২৫ জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত পুনরায় ভুল সংশোধনের জন্যে নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। ভুল সংশোধন করতে গিয়ে ভেসে উঠে ব্যাপক গরমিল।

কেশরাঙ্গা গ্রামের মো. আবুল হোসেনের মেয়ে সাকিবা আক্তার তিশার জন্মনিবন্ধনে ২০০৬ সাল উল্লেখ থাকলেও তার সার্টিফিকেটে রয়েছে ২০০৭ সাল। তথ্য সংগ্রহকারী জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী তাকে ভোটার তালিকায় লিপিবদ্ধ করলেও তিশাকে সার্টিফিকেট নিয়ে পড়তে হবে ভোগান্তিতে। নরিংপুর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে নাহিদ চৌধুরী তার জন্মনিবন্ধনে নাম দিয়েছেন শুধু নাহিদ। পৌর এলাকার সাহিদুল ইসলামের কোথাও ইংরেজি বানানের মিল নেই। ১০ জুলাই পর্যন্ত পুনরায় সংশোধনে প্রায় ১০ হাজার আবেদন যাচাই-বাছাই করা হবে। এরই মধ্যে প্রায় ৬ শতাধিক ভুল শনাক্ত করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ পারভেজ জানান, তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের গাফলতির কারণে এমনটি হয়েছে। ওনারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে এমনটা হতো না। আমরা যতোটুকু সম্ভব সংশোধন করে দিচ্ছি, কিন্তু জন্মনিবন্ধন ও সার্টিফিকেট সংশোধনের ক্ষমতা আমাদের নেই। সচেতন মহল মনে করেন, এসব এনআইডি নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হবে। ‌

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়