প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১৮
চাঁদপুরে কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে আগুন, আহত ১০
চাঁদপুর মেঘনা নদীতে ভোলা ইলিশা ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এমভি কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়েছে। এই লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে আকস্মিক আগুন লাগলে ঘটনায় যাত্রীদের তাড়াহুড়াতে দশজন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় যাত্রীদের মাঝে চরম আতংক ছড়িয়ে পড়ে। লঞ্চটিতে হাজারোর বেশি যাত্রী ছিল বলে জানা যায়। শনিবার ২০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে হাইমচর উপজেলার মাঝেরচর মেঘনা নদীতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। হাইমচর উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান পেদা ও নীলকমল ইউনিয়নের সউদ আল নাসের সর্দার তাদের ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ।
এদিকে চাঁদপুর কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার জানান, ভোলার ইলিশা থেকে ঢাকা গামী কর্ণফুলী-৩ লঞ্চের ইঞ্জিনে আগুন লাগার পর তা নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। যাত্রীরা নিরাপদে রয়েছেন এবং বিকল্প লঞ্চের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করে গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছে বিআইডব্লিউটি কর্তৃপক্ষ।তিনি বলেন, বেলা বারোটার সময় অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে বিআইডব্লিউটিএ ও চাঁদপুর কোস্টগাড টিম দূর্ঘটনা স্থলে যায় এবং যাত্রীদের উদ্ধার তৎপরতার কাজে সহযোগিতা করে। লঞ্চটি চরে ভিড়ানোর কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে যাত্রীরা রক্ষা পায়।চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, আগুন লাগার পর লঞ্চটি দ্রুত চরে ভিড়িয়ে দেয়া হয়। কর্ণফুলী-৩ এর যাত্রীদের কর্ণফুলী-৪ লঞ্চের মাধ্যমে ঢাকায় নেয়া হচ্ছে। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। কর্ণফুলী-৪ লঞ্চের মাস্টা মোবারক হোসেন আমাকে ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আরও বলেন, ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসসহ আমাদের তদন্ত টিম ঘটনাস্থলে কাজ করছে। কিভাবে লঞ্চে আগুন লেগেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে বলা যাবে। এদিকে ঘটনা বিষয় জানতে পেরে নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, ঈদ ও পহেলা বৈশাখের দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ। তাই ভোলার বিভিন্ন লঞ্চঘাটগুলোতে বেড়েছে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড়। কর্ণফুলি-৩ লঞ্চটিতেও কর্মস্থলে ফেরা বহু যাত্রী ছিল। আল্লাহর রহমত থাকায় অগ্নিকাণ্ডের এদুর্ঘটনা থেকে বরযাত্রীর প্রাণ রক্ষা পায় বলে প্রত্যক্ষদর্শী ওই এলাকার চরের মানুষ গুলো জানায়। আগুন লাগার ঘটনা ইঞ্জিন রুম পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। এই আগুন লঞ্চের উপরে এবং সামনে ছড়িয়ে পড়লে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনার সম্ভাবনা ছিল।