শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ২২:৩৩

অনুমতি ব্যতিরেকেই ফরিদগঞ্জে ইটভাটা, ধূলিময় সড়কে অস্বস্তি শিক্ষার্থীদের

প্রবীর চক্রবর্তী ও সোহাঈদ খান জিয়া
অনুমতি ব্যতিরেকেই ফরিদগঞ্জে ইটভাটা, ধূলিময় সড়কে অস্বস্তি শিক্ষার্থীদের

চারপাশে ফসলি জমি, এক কিলোমিটারের মধ্যে ৪-৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর ফরিদগঞ্জে আবারো একটি ইটভাটা চালু হয়েছে। ফলে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিপূর্বে স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি ও অংশীদারদের মধ্যে অমিলের কারণে ইটভাটাটি বন্ধ হয়ে যায়। ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের বালিথুবা গ্রামে মেসার্স মা-রহমত ব্রিকস নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রবিহীন এই ইটভাটার অবস্থান।

জানা গেছে, বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের বালিথুবা অদুদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, মাছিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সানকিসাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাছিমপুর মাদ্রাসা ও মাছিমপুর এতিমখানার এক কিলোমিটারের মধ্যে পূর্বের মেসার্স হাজী আবদুল অদুদ এন্ড শফিউল্লাহ মিয়া ব্রিক কোং (F&F) নামে ইটভাটা ছিল। কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর হঠাৎ করেই চলতি বছর মেসার্স মা রহমত ব্রিকস্ (MRB) নামে ইটভাটাটি চালু হয়। তবে অদ্যাবধি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পায়নি তারা। ইটভাটার কারণে চারপাশের ফসলি জমিতেও আবাদ ব্যাহত হচ্ছে।

সরেজমিন বুধবার ইটভাটা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ইটভাটাকে কেন্দ্র করে মাটি আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর পুরো এলাকায় দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে। টাকার লোভে পড়ে লোকজন ইটভাটার জন্য জমির টপ সয়েল বিক্রি করছে। ট্রাক্টরের দৌরাত্ম্যে সড়কগুলো ধূলিময় হয়ে উঠেছে। স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা ট্রাক্টরের ভয় ছাড়াও ধূলির কবলে পড়ছে।

স্থানীয়রা জানায়, ইটভাটার কারণে পুরো এলাকার সড়কগুলোর দুরবস্থা ছাড়াও ধূলিময়তায় আচ্ছন্ন হয়। স্কুল ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনা আতঙ্কে থাকে। তাছাড়া মাত্রাতিরিক্ত ধূলির কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। ইতিপূর্বে মেসার্স হাজী আবদুল অদুদ এন্ড শফিউল্লাহ মিয়া ব্রিক কোং (F&F) নয়জন অংশীদার মিলে ভাটাটি চালিয়ে আসছিল। এলাকাবাসীর আন্দোলনের ফলে এবং অংশীদারদের মধ্যে বনিবনার কারণে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। পূর্বের ইটভাটার মালিকদের একজন মুহাম্মদ ওমর ফারুক জানান, তিনি ও তার স্ত্রী উক্ত প্রতিষ্ঠানের তিন ভাগের একভাগের মালিক। তিনি বলেন, আমরা ৩৯ শতাংশ জমির মাটির টাকা, জমি ভাড়া, শেয়ারের টাকা পাবো। আমাদের সাথে কোনো রকম সমন্বয় না করে ইটভাটা চালু করেছে। বর্তমানে ইটভাটা পরিচালনাকারী আলম তপাদার ফিল্ডের নাম, মার্কা, মালিকানা পরিবর্তন আইন অনুযায়ী করতে পারেন না।

এ ব্যাপারে বর্তমানে মেসার্স মা রহমত ব্রিকস (MRB)-এর পরিচালক আলম তপাদার বলেন, জমির মালিকসহ লোকজন আমাকে অনুরোধ করায় আমি ইটভাটাটি শুরু করেছি। কাগজপত্র কিছু তৈরি করেছি। তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন বলে তিনি জানান।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এইচএম হারুনুর রশীদ জানান, নিয়মনীতি উপেক্ষা করে কীভাবে ইটভাটা চালু হলো বুঝতে পারছি না। ইটভাটার এক কিলোমিটারের মধ্যে ৪-৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাছাড়া ইটভাটার কারণে এলাকার জমির টপসয়েল বিক্রি হচ্ছে। নিষিদ্ধ ট্রাক্টরের দৌরাত্ম্যে সড়ক নষ্ট হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনা ও ধূলি আতঙ্কে রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়