প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:২০
রায়পুরের মেঘনায় অভিযানে ৯ জেলেকে সাতদিন করে কারাদণ্ড

প্রধান প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন মা ইলিশ রক্ষায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় টাস্কফোর্সের বিশেষ অভিযানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ১৫ কেজি ইলিশ, ১০ জেলে, একটি নৌকা ও ৮০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল আটক করা হয়েছে। রাতেই সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিগার সুলতানা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৯ জেলেকে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদণ্ড এবং এক জেলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ধ্বংস এবং জব্দকৃত মাছ দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
|আরো খবর
রোববার (১২ অক্টোবর ২০২৫) রাত দেড়টা থেকে ভোর পর্যন্ত মেঘনা নদীতে বিশেষ টাস্কফোর্স এই অভিযান পরিচালনা করে। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ও সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন। সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অভিযানে অংশগ্রহণকারী রায়পুরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রাশেদ হাসান।।
আটককৃত জেলেরা হলেন : আবু তাহের, মো. তারেক, আক্তার সরদার, লিমন বেপারী, রাজু হাজি, জাকির সরদার, কামাল মুতাইত, জুলহাস মিয়া ও জুয়েল মৃধা। অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুহাম্মদ রবিউলকে ছেড়ে দেয়া হয়। সকলের বাড়ি রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের চরঘাসিয়া গ্রামে।।
অভিযানে অংশগ্রহণ করেন রায়পুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিগার সুলতানা, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আল আমিন, কোস্টগার্ড রায়পুর স্টেশন কন্টিজেন্ট কমান্ডার হাফিজুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যরা।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদ হাসান জানান, অভিযান চলাকালীন মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৮০ হাজার মিটার (মূল্য ১৬ লক্ষ টাকা) নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, ১৫ কেজি ইলিশ, ১টি নৌকা ও ১০ জেলেকে আটক হয়। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ম্যাজিস্ট্রেট নিগার সুলতানা ৯ জেলেকে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে সাত দিনের কারাদণ্ড প্রদান করেন এবং একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন। জব্দকৃত জাল জনসম্মুখে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় ও জব্দকৃত মাছ দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।