১৩ দিনে ১০ লাখ মিটার অবৈধ জাল জব্দ ও ধ্বংস

সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ইলিশ প্রজনন মৌসুমে 'ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার'- এর আওতায় সমুদ্র, উপকূলীয় অঞ্চল ও অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে 'মা ইলিশ রক্ষা অভিযান ২০২৫' অভিযান পরিচালনা করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। সরকারের ঘোষিত এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমুদ্র, নদী ও উপকূলীয় এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর ২০২৫) বিএন ফ্লীট কমান্ডার-এর জাহাজ বানৌজা ধানসিঁড়ি কর্তৃক চাঁদপুর জেলার চাঁদপুর সদর, হাইমচর, মাঝেরচর, হরিণা ফেরিঘাট, চরভৈরবী এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আনুমানিক ৩৫ লাখ টাকা মূল্যের প্রায় ১ লাখ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে অবৈধ জালসমূহ স্থানীয় প্রশাসন/ মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিধি মোতাবেক ধ্বংস করা হয়। চাঁদপুরে গত ৪ অক্টোবর হতে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত নৌবাহিনীর অভিযানে প্রায় ১০ লাখ মিটার অবৈধ জাল জব্দের মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে।

নৌ বাহিনীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়ে তাতে আরো বলা হয়,

দেশের সমুদ্র, উপকূলীয় অঞ্চল ও অভ্যন্তরীণ নদ-নদীসহ জাতীয় সম্পদ ইলিশের প্রজননের সম্ভাব্য স্থানসমূহে নৌবাহিনী নিবিড়ভাবে নিরাপত্তা প্রদান করছে। শুধু নৌবাহিনীর জাহাজই নয়, বরং বিভিন্ন বোটের মাধ্যমে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে প্রজননকালীন সময়ে ইলিশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে নৌবাহিনীর সদস্যগণ। এর ফলে সমুদ্র, উপকূলীয় অঞ্চল ও অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে অবৈধভাবে মাছ শিকার বহুলাংশে কমে এসেছে।

মা ইলিশ রক্ষা অভিযান ২০২৫ বাস্তবায়নে নৌবাহিনীর নিয়োজিত জাহাজসমূহ সুবিশাল বঙ্গোপসাগর ও অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে মৎস্য শিকার বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। গত ৪ অক্টোবর ২০২৫ থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এই অভিযান আগামী ২৫ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত থাকবে। বর্ণিত সময়ে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ রয়েছে। এছাড়া সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকাতেও সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক সকল প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ রয়েছে। অভিযান পরিচালনাকালে নৌ সদস্যগণ প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ সংক্রান্ত সরকারি নিষেধাজ্ঞা ব্যস্তবায়ন ও গণসচেতনতা সৃষ্টিতে স্থানীয় প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করবে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এ অভিযান পরিচালনার ফলে দেশের সমুদ্রসীমায় ও অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে জাতীয় সম্পদ ইলিশের প্রাচুর্য বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।