প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৫, ১৯:০০
রহস্যজনক মৃত্যু
নোয়াখালীতে নিখোঁজের ৩দিন পর যুবকের মরদেহ মিললো দিঘিতে

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে এটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
|আরো খবর
রোববার (২২ জুন ২০২৫) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বারগাঁও ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী বাড়ির দিঘি থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মো. কামরুল হাসান (৩৮) একই ইউনিয়নের বারগাঁও গ্রামের মোস্তফা মেম্বার বাড়ির মৃত মোস্তফা মেম্বারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কামরুল গত ৩ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার দিবাগত রাতে তার পরিবার বিষয়টি মৌখিকভাবে পুলিশকে অবহিত করেন। রোববার দুপুরের দিকে কামরুলের বাড়ি থেকে আনুমানিক তিন মাইল দূরে নিজ ওয়ার্ডের চৌধুরী বাড়ির দিঘিতে তার মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে এবং প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ডোবায় হাঁটু পরিমাণ পানি ছিলো। সেখানে ডুবে মারা যাওয়ার মতো পানি ছিলো না। তা ছাড়া ভিকটিম সাঁতার জানতো। স্থানীয়দের অভিযোগ, হত্যার পর মরদেহ দিঘিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে মরদেহ বেশি সময় পানিতে থাকায় শরীরের চামড়া উঠে গেছে। শরীরে কিছু চিহ্ন রয়েছে, যা সঠিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না।