প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:১৫
ফরিদগঞ্জে নারী লোভী হাবিব অবশেষে শ্রীঘরে
পেশায় ব্যটারি চালিত অটোবাইক চালক হলেও নেশা তার নারীদের মুঠো ফোনের মাধ্যমে কৌশলে তার প্রতি আকৃষ্ট করা। এক পর্যায়ে তার সাথে অবৈধ সর্ম্পক স্থাপনের মাধ্যমে নিজের নারী লোভের তৃষ্ণা মেটানো। তার এই অবৈধ কুকর্মের কারণে তার স্ত্রী নিজেই জ¦ালায় অতিষ্ট হয়ে বাপের বাড়িতে চলে গেছে। এসব কুকর্ম করে বেড়ানো হাবিব খান বাবু (৩০) অবশেষে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় আটক হয়ে এখন শ্রীঘরে।
|আরো খবর
এক গৃহবধূকে কৌশলে অপহণের পর আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হাবিব খান বাবুকে আটক করে শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করেছে ফরিদগঞ্জ পুলিশ।
জানা গেছে, উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের পুর্ব ধানুয়া গ্রামের ওয়ারিশ খায়ের বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে হাবিব খান বাবু পেশায় অটো বাইক চালক। কিন্তু সে নিজেকে এক সময় একেক পরিচয় দিতো। সে ইতিপুর্বে বেশ কয়েকটি অটোবাইক চুরি করেছে। কিন্তু সে নারী লোভী। সুঠাম দেহের অধিকারী হওয়ায় সে কৌশলে নারীদের সাথে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মুঠো ফোনে প্রেমের অভিনয় করে তাদের সাথে অবৈধ সর্ম্পক স্থাপন করতো। একই কথা ধানুয়া এলাকার লোকজনও জানান। এছাড়া পরকিয়ায় জড়িয়ে সে বহু নারীর সংসার ভেঙ্গেছে।
তার দ্বিতীয় স্ত্রী শামছুন্নাহার বেগম জানান , তার স্বামী একাধিক বিয়ে করেছে। সে দ্বিতীয়। তার অত্যাচারে কারণে গত ৫ মাস পুর্বে সে বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছে। তার স্বামীকে এই পথ থেকে সরানোর জন্য বহু চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কোন কিছুই কাজে আসে নি। তিনি নিজে গৃদকালিন্দিয়া , রূপসা, প্রত্যাশী, শরিয়তপুর এলাকা থেকে অবৈধ কর্মে লিপ্ত অবস্থায় আটকের পর অর্থ দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছেন।
হাবিব খান বাবু সর্বশেষ এক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক গৃহবধূকে টার্গেট করে। সে মুঠো ফোনে ওই গৃহবধুকে ভাবে উত্যক্ত করে। ওই গৃহবধূ গত ১০ সেপ্টেম্বর তার বাপের বাড়ি গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের শোভান গ্রামের বাপের বাড়িতে আসলে, হাবিব খান তার এক সহযোগিকে নিয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর কৌশলে অপহরণ করে। পরে ঐ গৃহবধূকে পাশ^বর্তী হাইমচর উপজেলার আলগী এলাকায় একটি ঘরে আটকে রাখে। অভিযুক্ত হাবিব নিজে পুলিশে চাকুরী করে বলে হুমকি দিয়ে ঐ গৃহবধূর পিতা-মাতাসহ পরিবারের লোকজনকে মামলায় জড়িয়ে শেষ করে দিবে এমন ভয়-ভীতি দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। ৯দিন পর ঐ গৃহবধূ কৌশলে বৃহস্পতিবার(২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে পালিয়ে তার পিত্রালয়ে চলে আসে। বিষয়টি তার পরিবারের লোকজনকে জানানোর পরে তার পিতা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ফরিদগঞ্জ থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। এরপর পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত হাবিব খানকে পাশ^বর্তী হাইমচর উপজেলার আলগী এলাকা থেকে আটক করে এবং শুক্রবার(২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরন করে। এছাড়া ঐ গৃহবধূকে উদ্ধার করে তার মেডিকেল টেস্ট ও ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্যও চঁদপুর প্রেরণ করে। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহিদ হোসেন জানান, ঐ গৃহবধূর পিতা বাদী হয়ে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত হাবিব খানকে আটক করা হয়। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গৃহবধুর মেডিকেল টেস্ট ও ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্য চাঁদপুর প্রেরণ করা হয়। এছাড়া হাবিবকেও চাঁদপুর আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।পরে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়।