শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:৪৩

শ্বশুর-শাশুড়ির যাবজ্জীবন

হাইমচরে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে দেবরের মৃত্যুদণ্ড

হাইমচরে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে দেবরের মৃত্যুদণ্ড
চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম

হাইমচরে গৃহবধূ ফাতেমা (২৫)কে হত্যার দায়ে শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম ও শাশুড়ি শাহানারা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং দেবর রিপনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল ২০২৫) বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আমিরুল ইসলাম এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী রিপন হাইমচর উপজেলার পশ্চিম ভিঙ্গুলিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সিরাজুল ইসলাম একই এলাকার মৃত হাসেম গাজীর ছেলে ও অপর আসামী শাহানারা তার স্ত্রী।

হত্যার শিকার গৃহবধূ ফাতেমা প্রবাসী ফারুক গাজীর স্ত্রী। ফাতেমার পিতার বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার গোলাকান্দাই এলাকায়। তিনি মৃত জামাল উদ্দিন খানের মেয়ে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখ দিবাগত রাত ১০টায় পারিবারিক কলহের জের ধরে ফাতেমার শাশুড়ি শাহানারা কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ফাতেমার গলায় চেপে ধরে, শ্বশুর ও দেবর গৃহবধূর পেটে লাথি মারে। এতে ঘটনাস্থলেই ফাতেমার মৃত্যু হয়। পরে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বাড়ির পুকুরে লুকিয়ে রাখে। পরের দিন সকালে বাড়ির অন্যান্য লোকজন পুকুরে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে চাঁদপুর পাঠায়। ১৬ অক্টোবর গৃহবধূ ফাতেমার ভাই ইউসুফ খান বাদী হয়ে হাইমচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় তৎকালীন হাইমচর থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুস সামাদ তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউর (এপিপি) শামছুল ইসলাম মন্টু বলেন, মামলাটি ১৬ বছর চলমান অবস্থায় ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। আসামীরা অপরাধ স্বীকার করায় এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামীদের উপস্থিতিতে বিচারক এ রায় প্রদান করেন।

আসামী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন জহিরুল ইসলাম ও জুয়েল রাণী শীল।

ছবি -- গৃহবধূ ফাতেমার লাশ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়