শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৫, ১৭:১৪

পরকীয়ার কারণেই মামা শ্বশুর মিলে আলমগীরকে হত্যা করেছে বলে সোনিয়ার স্বীকারোক্তি

মো. মঈনুল ইসলাম কাজল
পরকীয়ার কারণেই মামা শ্বশুর মিলে আলমগীরকে হত্যা করেছে বলে সোনিয়ার স্বীকারোক্তি

শাহরাস্তি উপজেলার মনিপুরে দিনমজুর আলমগীর হত্যা মামলার রহস্য কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উদঘাটন করতে সক্ষম হলেও পুলিশের কাছে নতুন নতুন তথ্য আসছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বাড়ির মালিক আবুল হোসেন মানিকের স্ত্রী খোদেজা বেগম ও মেয়ে সোনিয়াকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করার পর পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত সোনিয়ার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শাহরাস্তি থানা হেফাজতে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আলমগীর হত্যা মামলার প্রধান আসামি সোনিয়াকে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অলি উল্লাহ জানান, সোনিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। আলমগীরের সাথে সোনিয়ার দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। সোনিয়াকে উত্ত্যক্ত করার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে সে তার মামা শ্বশুর তাজুল ইসলাম তপনের সহযোগিতায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। সোনিয়া বিজ্ঞ আদালতে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশ জানায়।

এদিকে আলমগীর হত্যার পর ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ যে দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে তা তপনের বলে পুলিশ আগেই নিশ্চিত হয়। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। উক্ত ঘটনায় জাল টাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সোনিয়ার একাধিক পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিলো যা এলাকাবাসীও জানতো। মামা শ্বশুর তাজুল ইসলাম তপনের সাথে সোনিয়ার পরকীয়া প্রেম অনেকেই জানতো। আলমগীর হত্যার পর এলাকাবাসী মাস্টার মাইন্ড হিসেবে তপনের শাস্তি দাবি করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। ধারণা করা হচ্ছে নিজের পরকীয়া প্রেমের অংশীদার হিসেবে আলমগীরকে সরিয়ে দিতে তপন ও সোনিয়া এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। মামা শ্বশুর তপনকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জানা যায়, তাজুল ইসলাম তপন চিতোষী পূর্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপনের ছোট ভাই। এলাকায় একজন সন্ত্রাসী ও বখাটে ছেলে হিসেবে পরিচিত।

এদিকে হত্যাকাণ্ডে সোনিয়ার মা খোদেজা বেগমের সম্পৃক্ততা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ না পাওয়া গেলেও প্রমাণ লোপাট ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগে তিনি ফেঁসে যেতে পারেন।

শাহরাস্তি মডেল থানার ওসি আবুল বাসার জানান, আলমগীর হত্যা মামলার প্রধান আসামী সোনিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে আরও যারা জড়িত রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়