রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:৪৪

চরের সম্পত্তিগত বিরোধে বিএনপির দু’নেতাকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ

গোলাম মোস্তফা
চরের সম্পত্তিগত বিরোধে বিএনপির দু’নেতাকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ

চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন ও শরীয়তপুরের সখীপুর উপজেলার মেঘনার চরে সম্পত্তিগত বিরোধে কুপিয়ে দুজনকে রক্তাক্ত জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। জমির মৌজার সীমানা নির্ধারণ নিয়ে সালিসের কথা বলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে এ ঘটনা ঘটানো হয়। ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কুপিয়ে জখম করা হয়।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের এবং শরীয়তপুর জেলার সখিপুর উপজেলার চরসেনশাস ইউনিয়নের মৌজার সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয় দুটি গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা চলে আসছে। স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সখিপুর থানার মেঘনার চরের স্থানীয় প্রভাবশালী মমিন দিদারের নেতৃত্বে চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ৭০/৮০ একর জমি তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জোরপূর্বক দখল করে ভোগ করে আসছে।

কিন্তু ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আ. মতিন মাঝির ছেলে মো. সৈয়দ মাঝি (৫৩), আ. হামিদ ছৈয়ালের ছেলে আ. মোতালেব ছৈয়ালসহ এলাকাবাসী এ সম্পত্তি ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের মৌজার দাবি করে আসছে। এটিকে কেন্দ্র করে প্রভাবশালী মমিন দিদার প্রায় সময় তার নিজের দলবল নিয়ে ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের উপর সস্ত্রাসী হামলা চালায়।

এটিকে কেন্দ্র করে মমিন দিদারের সাথে স্থানীয় ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মাঝি ও সাধারণ সম্পাদক মোতালেব আপস মীমাংসার একটি কথা হয়। এই আপস মীমাংসার কথা বলে একুশে ফেব্রুয়ারি বিকেলে মমিন দিদার সৈয়দ মাঝিকে ও মোতালেব ছৈয়ালকে মমিন দিদারের ব্যক্তিগত অফিসে ডেকে নিয়ে নিজস্ব লোকজন দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে এনে ভর্তি করায়।

আহতরা জানান, মমিন দিদার এই ঘটনা মীমাংসার জন্য তিন লাখ টাকা দাবি করে। এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্থানীয় বিহারী নেতা মোস্তাক, তার ছেলে রাজুর নেতৃত্বে সস্ত্রাসী হামলা চালানো হয়।

চরের এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী রাজু ও কালা চানের অন্যতম সহযোগী মাসুমসহ জুয়েল দিদার (২৫), মমিন দিদারের দুই ভাগিনা, মৃত দেলু ঢালীর ছেলে রফিক ঢালী (২৬), আউয়াল ঢালীর ছেলে আলমগীর ঢালী (৫০)সহ প্রায় ১০-১২জন এ হামলার নেতৃত্ব দেন।

ভুক্তভোগীরা জানায়, এ বিষয়ে আমরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত মমিন দিদারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বারবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেন নি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়