প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৫৪
ওয়ারিশের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ
মোবাইল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩
![মোবাইল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩](/assets/news_photos/2025/02/16/image-58968-1739710588bdjournal.jpg)
নানার বাড়ির ওয়ারিশের সম্পত্তি ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে সালিসি বৈঠকের জের হিসেবে অতর্কিত হামলায় ইউসুফ পাটওয়ারী (৪০) নামের এক মোবাইল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় বড়ো ভাই ইব্রাহিম পাটোয়ারী (৫৫)কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) বেলা সাড়ে এগারোটার সময় চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪ নং শাহমামুদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কুমারডুগি মিয়ারবাজার পাটোয়ারী বাড়িতে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত ইউসুফ পাটওয়ারী ওই বাড়ির মৃত কলিমুল্লাহ পাটোয়ারীর ছেলে এবং তিনি চাঁদপুর শহরের রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের মোবাইল হাউজের স্বত্বাধিকারী। তার দু ছেলে সন্তান রয়েছে। নিহতের বড়ো বোন রাজিয়া, নাছিমা ও ছোট বোন আমেনা জানান, তাদের খালতো ভাই মাইনুদ্দিন পাটোয়ারী গংয়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরে নানা বাড়ির একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে রোববার সকালে নিহত ইউসুফ পাটোয়ারী তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রেলওয়ে হকার্স মার্কেটে মোবাইলের দোকানে আসার পথে খালাতো ভাই মাইনুদ্দিন, তার ছেলে রমজান, রবিউল, রহিম ও মাইনুদ্দিনের স্ত্রী খাদিজা বেগম মিলে পথিমধ্যে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথা, ঘাড়ে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপ দিলে তিনি গুরুতর আহত হন । তাকে বাঁচাতে বড়ো ভাই ইব্রাহিম পাটওয়ারী এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা তার ওপরও হামলা চালায়। স্বজনরা তাদের দুজনকে আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আমিনুল ইসলাম সুমন ইউসুফকে মৃত ঘোষণা করেন এবং নিহতের বড়োভাই ইব্রাহিমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তার উন্নত চিকিৎসার জন্যে তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আমিনুল ইসলাম সুমন জানান, আমরা ইউসুফকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তার মাথা, কপাল, ঘাড় সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে ডান পাশের ঘাড়ে যে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, সেটিতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যুর ঘটেছে বলে তিনি ধারণা করছেন। পাশাপাশি আহত ইব্রাহিম মিয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। যার কারণে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় প্রেরণ করেছি। এদিকে ঘটনার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে অভিযুক্ত মাইনুদ্দীন, তার স্ত্রী খাদিজা বেগম ও ছেলে রমজানকে আটক করে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ। ঘটনার পর চাঁদপুর মডেল থানার এস আই নাজমুল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্যে লাশ থানায় নিয়ে যান। চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বাহার মিয়া জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আমরা তিনজনকে থানায় নিয়ে এসেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।