শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৫৬

সেই ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নূর হোসেনকে শোকজ

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
সেই ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নূর হোসেনকে শোকজ

এক মাস, দুমাস নয়, মাসের পর মাস রোগীদের সেবা না দিয়েই বেতনসহ সরকারি সকল সুবিধা ভোগ করছেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার (স্যাকমো) মোঃ নূর হোসেন। এমন সংবাদ সোমবার চাঁদপুর কণ্ঠসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশের পর তাকে শোকজ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েল। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি সংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া সাময়িকভাবে তার বেতন বন্ধেরও নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। স্যাকমো মোঃ নূর হোসেন কর্মব্যস্ততা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিউটি করেন এমন অজুহাতে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র তথা তার মূল কর্মস্থলে এসে রোগী দেখেন না। এমনকি হাজিরা বইতে নেই স্বাক্ষর। ২০২৩ সালে যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মাসে ৩/৪ দিন অফিস করলেও সর্বশেষ গত ১ আগস্ট থেকে একদিনের জন্যেও তিনি অফিসে আসেননি। এমন সংবাদ পত্রিকায় সোমবার প্রকাশিত হয়। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার নূর হোসেনের রুমের দরজা বন্ধ এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিটি কক্ষ ধূলাবালি ও ময়লা আবর্জনায় ভরপুর। দেখলে মনে হয়, এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন থেকে চার বছর ডাক্তারের চেম্বারে কেউ প্রবেশ করে নি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ডাক্তারের জন্যে অপেক্ষারত রোগীরা জানান, গত ১ আগস্টের পর থেকে ডাক্তারের দেখা পায়নি তারা। অবসরপ্রাপ্ত একজন পিয়ন মিজান প্রাথমিক কিছু চিকিৎসার ঔষধ প্রদান করেন। পিয়ন মিজানুর রহমান জানান, ডাক্তার দু-তিন মাস আসে না। রোগী আসলে বলতে হয়, কাল আসবে। ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আসাদুজ্জামান জুয়েল জানান, ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকের অনুপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে শোকজ করা হয়েছে। একই সাথে সাময়িক বেতন- ভাতাদি বন্ধ রেখে ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করা হবে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়