প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২১:১৮
আদালতের আগে বিবাদীকে তদন্ত প্রতিবেদন দিলেন পুলিশ কর্মকর্তা!
তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার আগেই বিবাদীর হাতে চলে আসলো। চাঞ্চল্যকর এমন ঘটনায় তোলপাড় ফরিদগঞ্জজুড়ে। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে আবার অভিযুক্ত এক দলিল লেখককে নির্দোষ দেখানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হচ্ছেন পিবিআই চাঁদপুরের একজন পুলিশ পরিদর্শক। ফরিদগঞ্জে দলিল জালিয়াতির ঘটনায় আদালতে দায়েরকৃত মামলার ঘটনা এটি। জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলার জনৈক নূরুল ইসলাম তার ছেলে হাসান ইসলামকে দুই দাগে মোট ১১শতক ভূমি হেবা করে দেন। হেবা করার পর দলিল লেখক ও তার ছেলে জালিয়াতি করে দলিলের তফসিল পরিবর্তন করে এক দাগে ১১ শতক জমি খারিজ করে নেন। এ ঘটনায় নূরুল ইসলাম চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। পিবিআই চাঁদপুর-এর পুলিশ পরিদর্শক কবির আহাম্মদ মামলা তদন্ত করেন। এদিকে এই তদন্ত রিপোর্ট সাংবাদিকদের হাতে চলে আসে। তবে সেটা আদালতের মাধ্যমে নয়, বিবাদী দলিল লেখকের মাধ্যমে সাংবাদিকদের হাতে আসে। সাংবাদিকদের কাছে ওই দলিল লেখক আঃ করিম সদর্পে জানান, মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে এই তদন্তের কপি তাকে দিয়েছেন তদন্তকারী পিবিআই কর্মকর্তা। যদিও আগামী ২৪ অক্টোবর মামলার পরবর্তী নির্ধারিত দিনে আদালতের মাধ্যমে তদন্ত রিপোর্ট বিষয়ে জানার কথা বাদী ও বিবাদীদের। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কবির আহাম্মদ মুঠোফোনে সাংবাদিকদের কাছে বিবাদীর কাছে প্রতিবেদন দেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। এদিকে আদালতে দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মামলার অন্তত ৩জন সাক্ষীর সাথে তদন্তকারী কর্মকর্তা কোনো যোগাযোগ করেননি। তিনজন সাক্ষীর মুঠোফোন নাম্বার হিসেবে বাদীর মুঠোফোন নাম্বার জুড়ে দেয়া হয়েছে। সকল সাক্ষীর সাক্ষ্য অবিকল একই রকম দেখানো হয়েছে। দলিল লেখককে অব্যাহতি দিতে জালিয়াতির ঘটনা তদন্তে কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। খারিজ জালিয়াতির অভিযোগ হলেও তদন্তে খারিজের আবেদনটি পর্যালোচনা করা হয়নি। আবেদনের ৪টি স্থানে দলিল লেখকের মুঠোফোন নাম্বার উল্লেখ থাকলেও তদন্ত প্রতিবেদনে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই। দলিলে তফসিল সম্বলিত ভুয়া পাতাটি কোথা থেকে কীভাবে এলো সেটি খতিয়ে দেখা হয়নি। অথচ ওই দলিল দিয়ে খারিজের আবেদনের সময় তফসিল জালিয়াতি কীভাবে হলো তার কোনো তথ্যই নেই। কে বা কারা এই অপকর্ম কীভাবে করলো তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। জালিয়াতির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তদন্তকারী কর্মকর্তা কবির আহাম্মদ বলেন, আপনি কে? আপনি কি আমাকে এসব প্রশ্ন করতে পারেন?