প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৩৮
বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য
চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলীর খুঁটির জোর কোথায়?
চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউল নবী তার সরকারি দপ্তরে বসে বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন ও মানহানিকর কটূক্তি করেছেন চাঁদপুর পৌর ১৩নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা রনি ও কবিরের উপস্থিতিতে। পরে ওই এলাকায় থাকা নেতা-কর্মীদের রোষানলে পড়ার পর আবার তাৎক্ষণিক বোল পাল্টিয়ে এ ধরনের মন্তব্য করেননি বলে জানান। ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ ভবনের তৃতীয় তলায় প্রকৌশল দপ্তরে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এ ঘটনা নিয়ে তাৎক্ষণিক তার দপ্তরে যুবদলের বেশ ক’জন নেতার সম্মুখে উচ্চবাচ্য হলেও তিনি তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। বিষয়টি চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে তাৎক্ষণিক জানানো হয়েছে। চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী কাউকে কেয়ার করেন না--এমনটি তার কথাবার্তায় বোঝা যায়। তিনি ঠিকাদারসহ তার দপ্তরের স্টাফদের সাথেও প্রায়শ উত্তেজিত হয়ে যান এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের সামনেই বলে ফেলেন, কাজ করতে আসছি, কাজ করবো। কাউকে তোষামোদ বা কাউকে জবাবদিহি করার মনমানসিকতা আমার নেই। আজকে এখানে আছি, আবার হয়তো এখান থেকে চলে যাবো। কিন্তু আমার চেয়ার সব জায়গাতেই ঠিক থাকবে। কথা হচ্ছে, চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউল নবীর খুঁটির জোর কোথায়? জানা যায়, এর পূর্বে তিনি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। শুধু তা-ই নয়, সেখানকার স্টাফ ও ঠিকাদারদের সাথে এহেন আচরণ করার দায়ে সেখানকার প্রশাসন থেকে শুরু করে নিজ দপ্তরের স্টাফরাও তার প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলেন। সন্দ্বীপ থেকে ২০২৩ সালের ৫ মে চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এখানে যোগদানের পরই তিনি নিজেকে মনে হচ্ছে সামাল দিতে পারছেন না। পূর্বের কর্মস্থলের ন্যায় এখানেও একই ধরনের কর্মতৎপরতা শুরু করেন। এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীও বেশ ক’বার মৌখিকভাবে এবং লিখিতভাবে সতর্ক করেছেন। কিন্তু তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকেও মনে হচ্ছে কেয়ার করেন না। তিনি অর্থ ছাড়া কোনো কিছুই বোঝেন না। যিনি অর্থ দেন, তার ফাইলকে তিনি অতি দ্রুত পাস করিয়ে দেন। তিনি ১০ম গ্রেডের চাকুরি করলেও ৫০ লাখ টাকা মূল্যের প্রিমিও ব্র্যান্ডের বা মডেলের পার্সোনাল গাড়ি ব্যবহার করে থাকেন। এ ব্যাপারে সাংবাদিক হিসেবে তাকে প্রশ্ন করলে তিনি তার উত্তরে বলেন, আমার ট্যাক্স ফাইল আগে দেখুন, তারপর প্রশ্ন করুন। স্থানীয় যুবদল নেতা-কর্মী এবং আইনজীবীরা চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউল নবীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণের প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন এবং দ্রুত সময়ে তাকে চাঁদপুর থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্যে এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।