প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২:১৬
স্থগিত হচ্ছে ডা. জোবাইদা রহমানের দণ্ডাদেশ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে আদালতের দেওয়া দণ্ডাদেশ স্থগিত করছে সরকার। ২০০৭ সালের কাফরুল থানার একটি মামলায় তার দণ্ডাদেশ এক বছরের জন্য স্থগিত হচ্ছে।
|আরো খবর
আজকালের মধ্যেই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব (কারা-২শাখা) উপসচিব মোহাম্মদ আবু সাঈদ মোল্লা কালবেলাকে জানিয়েছেন, একটি মামলায় এক বছরের জন্য ডা. জোবাইদা রহমানের দণ্ড স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন হওয়ার কথা থাকলেও একটু সংশোধনীর জন্য তা হয়নি। আজকালের মধ্যে তা হতে পারে।
২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও জুবাইদা রহমানের মা সৈয়দা ইকবাল বানুর বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলাটি করেছিল দুদক। এতে অভিযোগ করা হয়, তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর ঘোষিত আয়ের বাইরেও ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকারও বেশি পরিমাণ অর্থের অবৈধ সম্পদ রয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা ২০০৯ সালের ৩১ মার্চ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। তবে সৈয়দা ইকবাল বানুর বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম পরে বাতিল করা হয়। গত বছরের ২ আগস্ট ঢাকার একটি আদালত ওই মামলায় তারেক রহমানকে ৯ বছর ও জোবাইদা রহমানকে ৩ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয় ওই মামলায়। সঙ্গে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছিল।
অবশ্য শুরু থেকেই বিএনপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ প্রত্যাখান করা হচ্ছে। রায় ঘোষণার দিনও আদালত চত্বরে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের এবং নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে রায় প্রত্যাখ্যান করে মিছিল করেন দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। সেদিন ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় রায় প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদ মিছিল করেছে বিএনপি সমর্থকরা।
রায়ের দিন বিএনপির আইনজীবীরা এটিকে ফরমায়েশি রায় দাবি জানিয়েছিলেন। রাজনৈতিক উদ্দেশেই ২০০৭ সালের দায়ের করা মামলায় তড়িঘড়ি করে রায় দেওয়া হয়েছে। এমন রায়ের মাধ্যমে তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অবিচার করা হয়েছে।
সূত্র : কালবেলা