প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:৩১
যারা আমাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছে তারা কেহই আমার ছাত্র না
বাড়ী বাড়ী গিয়ে ছাত্র-ছাত্রী সংগ্রহ করে স্কুলটাতে গতি এনেছি।স্কুল প্রতিষ্ঠালগ্নে শ্রমিকের মতো স্কুলের কাজ করেছি।শ্রম ও ঘামে প্রতিষ্ঠিত সেই স্কুলে আজ হাতুড়িপেটা করে জোরপূর্বক পদত্যাগ করিয়ে স্কুল থেকে বের করে দিবে এমনটা আমি জীবনেও ভাবিনি।তবে আমাকে হাতুড়িপেটা করেছে স্থানীয় কিছু উশৃংখল যুবক।যাদেরকে স্থানীয় ভদ্রলোকরা কিছু বলার সাহস পায়না।মূলত আমি পরিস্থিতির শিকার। কান্না করতে করতে এমনটাই জানালেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ৩০ হাজার জনবসতীর চরাঞ্চলে নির্মিত একমাত্র উচ্চ বিদ্যালয় আলী আহম্মদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইব্রাহীম খলিল এসব কথা জানান।
২৫ আগস্ট রবিবার দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে স্থানীয় কিছু উশৃংখল যুবক উপজেলার আলী আহম্মদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে হাতুড়িপেটা করে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে। প্রধান শিক্ষক আরো জানান, যারা আমাকে হাতুড়িপেটা করেছে তারা স্থানীয় উশৃংখল ও বখাটে ছেলে।তাদের নাম বলতে গেলে যেকোন সময় আমার অনেক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।প্রশসন কতক্ষন আমাকে পাহারা দেবে বলেন।
স্থানীয় এখলাছপির ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম মুন্না ঢালী বলেন, কারা এমন নেক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তা খোজখবর নিচ্ছি।প্রমাণ পেলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। স্থানীয় শিক্ষা সচেতন কয়েকজনের সাথে কথাহলে তারা জানায়, স্কুল পরিচালনা কমিটি নিয়ে রয়েছে গ্রুপিং,দলাদলি,ক্ষোভ।হয়তো সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশটা ঘটেগেলো প্রধান শিক্ষকের ওপরদিয়ে।যা ঘটেছে তা সত্যিই দুঃখ জনক। এ প্রসংগে কথাহলে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার একি মিত্র চাকমা বলেন, ঘটনাটি দুঃখ জনক এবং কারোরই আইন হাতে তুলে নেয়া উচিৎ না।