প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৪, ১৬:৩৯
ফরিদগঞ্জে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে টিকটকারে সাথে প্রবাসীর স্ত্রী উধাও
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার চর এলাকা থেকে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী মরিয়ম বেগম (২৩) পরকিয়া প্রেমিক টিকটকার রাজিব সিকদার ওরফে ইমনের (২৭) সাথে পালিয়েছেন।এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযাগ করেছেন প্রবাসীর স্বামী মাছুম রাব্বানী।
|আরো খবর
থানায় লিখিত অভিযাগ সূত্রে জানা যায়, ৭ বছর পূর্ব পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে হয় চর এলাকার কাছিয়াড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী মাছুম রাব্বানীর সাথে একই উপজেলার ৯নং সোবিদপুর উত্তর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের মরিয়ম বেগমের। তাদের উভয়ের কোল আলাকিত করে আসে পুত্র মেহরাব হাসান মাহিম (৫)। স্ত্রী মরিয়ম বেগমের মন রক্ষার্থে তাকে বাবার বাড়িত বসবাসের সম্মতি দেয় মাছুম রাব্বানি। এ সুযোগ কাজ লাগিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠে স্ত্রী মরিয়ম বেগম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকের মাধ্যম জড়িয় পড়ে অসামাজিক কাজে।
সাম্প্রতিক সময়ে মাছুম রাব্বানী দেশে আসলে তাকে খাবারর সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে সেবন করাতো স্ত্রী মরিয়ম বেগম। স্বামীকে পাশে ঘুমে রেখে রাতে যোগাযোগ রাখতো পরকিয়া প্রেমিক রাজিব সিকদার ওরফে ইমনের সাথে।
মরিয়ম বেগম কৌশলে পরাকিয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ২১ আগস্ট (বুধবার) চান্দ্রা শিক্ষিত বেকার সমবায় সমিতি থেকে স্বামী মাছুম রাব্বানী ও ভাবি তাছলিমা বেগমকে জামিনদার করে ৪ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে। সেই ৪ লক্ষ টাকা ঘরের আলমারিতে থাকা নগদ ৬ লক্ষ টাকা, ২ ভরি স্বর্ণালংঙ্কার ১ হাজার ৪শত সৌদি রিয়েল সাথে থাকা মোবাইল ফোনসহ প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে ২৭ আগস্ট সন্ধ্যায় পরাকিয়া প্রেমিক রাজিব সিকদার ওরফ ইমনের সাথে পালিয়ে যায়। এমনকি ৫ আগস্ট ফরিদগঞ্জ থেকে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকার বাংলাবাজার পরকিয়া প্রেমিকের ঠিকানায় ৫ বস্তা মালামাল প্রেরন করেন।
মাছুম রাব্বানী বলেন, আমার স্ত্রীকে আমি কোন দিক দিয়ে অভাবে রাখিনি। জীবিকার প্রয়োজনে প্রবাসে ছিলাম এটাই কি আমার অপরাধ। বাড়িতে তাকে না পেয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেন ( মরিয়ম বেগম) জানায়, আমার সাথে সংসার করবে না। আমি যেন তাকে খোঁজার চেষ্টা না করি, তার পরকিয়া প্রেমিক রাজিব সিকদার ওরফে ইমন আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন, বরিশাল জেলার বাকরগঞ্জ উপজলার গারুড়িয়া নামক জায়গা আছে সেখান গেল আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে। উপায় না পেয়ে আমি ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযাগ করছি।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হানিফ সরকার বলেন, এ সময়ে আমাদের ফোর্স নিয়ে বাহিরে যাওয়া সম্ভব না। আপনারা কোর্টে একটা মামলা করে দেন কোর্ট থেকে অর্ডার দিলে আমরা উদ্ধার করে দিবো।