চাঁদপুর সেতুর টোল বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি

চাঁদপুর সেতুর টোল আদায় বন্ধের দাবিতে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক বরাবর পরিবহন শ্রমিক ও স্থানীয় জনতা স্মারকলিপি দিয়েছে। ৭ জুলাই রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের নিকট স্মারকলিপি প্রধান করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাজী মাকসুদুল বাসার বাঁধন পাটওয়ারী, ফরিদগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি হানিফ কাজী, জেলা সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি রিপন মজুমদার প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, গত ঊনিশ বছর ধরে শুরু হওয়া চাঁদপুর সেতুর টোল আদায় করা হচ্ছে। বিগত ২০১২ সালে পরিবহণ মালিক শ্রমিকরা বিক্ষোভ মানববন্ধন করে সাবেক জেলা প্রশাসক ইসমাইল মহোদয়ের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে স্মারক লিপি দেয়া হয়। বিগত ২০২০-২১ সালে সাবেক জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ মহোদয়ের উদ্যোগে উক্ত ব্রিজ টোল বন্ধের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হলেও অদ্যাবদি তাহা বন্ধ না হয়নি। ৬ জুলাই শনিবার পরিবহন মালিক শ্রমিক এবং অত্র এলাকার সর্বস্তরের জনগণ অত্র ব্রিজ টোল বন্ধ করার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। পরবর্তীতে অতিঃপুলিশ সুপার সদর সার্কেল মহোদয়ের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় দুপুর পর্যন্ত ব্রিজ টোল বন্ধ রেখে শ্রমিকদের সাময়িক বন্ধ রাখার আশ্বস্ত করে আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণ রাখে।

আমরা উক্ত ব্রিজ টোল বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের সিএনজি ও অটোরিক্সা, মোটর সাইকেল, থ্রি হুইলারের টোল আদায় বন্ধ রাখার দাবি জানাই এবং একই সাথে উক্ত টোল বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত সিএনজি এবং অটোরিকশার, মোটরসাইকেল, থ্রি হুইলার দৈনিক ১ বার টোল নেওয়ার দাবি জানিয়ে আমাদের বিক্ষোভ মানববন্ধন কর্মসূচি আগামী ১০ কার্য দিবস পর্যন্ত সমাপ্তি ঘোষণা করি। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আমাদের দাবি সমূহ বাস্তবায়ন করার জন্যে আপনার মাধ্যমে বিনীতভাবে আবেদন জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে ডাকাতিয়া নদীর উপর গাছতলা নামক এলাকায় ২৪৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে চাঁদপুর সেতুটি ১৮ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০০৫ সনে নির্মাণ করা হয়। গত ১৯ বছর যাবৎ টোল আদায় করে চলছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। জনসাধারণ বারবার টোল আদায় বন্ধের দাবি জানালেও কার্যত কোনো ফল হয়নি। উল্টো গত ১ জুলাই থেকে আরো তিন বছরের জন্য ইজারা দেয় কর্তৃপক্ষ।