রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   খাল দখল নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
  •   নৌ পুলিশের হয়রানি বন্ধে জেলা বিএনপির সভাপতির কাছে জেলেদের লিখিত আবেদন
  •   হাসান আলী মাঠে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শততম দিনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা
  •   মাদ্রাসা খাদেমের লাশ নদী থেকে উদ্ধার
  •   পল্লবীতে দুই ছেলেকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে

প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৪, ২০:০৫

কচুয়া উপজেলা ভূমি অফিস থেকে নামজারির নথি গায়েব

ফরহাদ চৌধুরী
কচুয়া উপজেলা ভূমি অফিস থেকে নামজারির নথি গায়েব

কচুয়া উপজেলা ভূমি অফিস থেকে ই-নামজারির নথি গায়েব হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

কচুয়া উপজেলার গোহট গ্রামের মজুমদার বাড়ির দুলাল চন্দ্র দের স্ত্রী অঞ্জু রানী দে তার মালিকীয় দখলীয় ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ২ একর ৫৫ শতাংশ জমি মধ্যে ২ একর ১৮ শতাংশ সম্পত্তি ই নামজারির জন্য

২৯/০৯/২২ তারিখে আবেদন করেন। আবেদন নং ৪০৪২৭৪৪ মামলা নাম্বার ১৮৩৪/২২-২৩।

আবেদনে তিনি তার দখলীয় মাতৃ ওয়ারিশ সূত্রে একমাত্র মালিক হয়ে ১৪৩নং গোহট মৌজার সিএস ৬৫নং খতিয়ানে বর্তমানে ভিপি 'খ' গেজেটের তফসিলভুক্ত সম্পত্তি এবং অন্জু রাণীর ওয়ারিশদের নাম গেজেটে ১৪৯ ও ১৫০নং ক্রমিকে রয়েছে। তিনি সেই মালীকিয় সম্পত্তির নামজারির জন্য আবেদন করেন।

অঞ্জু রানীর মালিকানা সম্পত্তির সম্পর্কে পর্যালোচনায় করে জানা যায়,গোহট মৌজার ৬৫ খতিয়ানে মোট ১৫ একর ৩১ শতাশং ভুমির মধ্যে হিস্যা অনুযায়ী অঞ্জু রানীর নানা ২ একর ৫৫ শতাংশের মালিক হন। নানা নীলকান্ত মজুমদার জীবদ্দশায় তার তিন ছেলে ভারতবাসী হয়ে মৃত্যুবরণ করায় নীলকান্তের মৃত্যুর পর তার একমাত্র মেয়ে ঊষা মজুমদার ওই সম্পত্তির মালিক হয় ।ঊষা রানীর ৪ ছেলে ১ মেয়েরর মধ্যে ৪ ছেলে দেশ স্বাধীনের পূর্বে ভারতবাসী হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এর কয়েক বছরপর পর এক মাত্র মেয়ে অন্জু রানীকে রেখে ঊষা রানী মজুমদার গোহট মজুমদার বাড়িতে মৃত্যুবরণ করলে মাত্রী ওয়ারিশ সুত্রে পুত্রবতী অন্জু রাণী দে এই সম্পত্তির মালিক হন।বরতমানে এই মজুমদার বাড়িতে অন্জু রাণী দে,স্বামী দুলাল চন্দ্র দে,বড় ছেলে প্রদিপ চন্দ্র দে,ছোট ছেলে প্রদিপ চন্দ্র দে,মেয়ে মাধবী চন্দ্র স্থায়ী ভাবে বসবাস করছে।

আরো জানা যায় সিএস ৬৫ খতিয়ানে মালিক রজনী কান্ত মজুমদার,নীল কান্ত মজুমদার ও কৃষ্ণ কান্ত মজুমদার ৩ ভাইয়ের বাংলাদেশ বসবাসকারী একমাত্র ওয়ারিশ অঞ্জু রানী দে

অন্জু রাণীর দে খারিজ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ইবনে আল জায়েদ ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি দেখতে পান অঞ্জু রানী আবেদনকৃত নামজারির দখলীয় সম্পত্তিতে বসবাস করছেন । তদন্তকালে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার তানিয়া আক্তার, কাননগো সাইফুল ইসলাম, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ইমাম হোসেন, সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আবুল বাসার, স্থানীয় সাংবাদিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এই তদন্তের সংবাদ পরদিন চাঁদপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ, চাঁদপুর র্দপনসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তদন্ত কর্মকর্তাগন অন্জু রাণী দের বসবাসকৃত বাড়ী ঘর ও দখলের প্রমান পাওয়ার পরও সহকারী কমিশনার ভূমি ইবনে আল জায়েদ কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তার নামজারির প্রদানের জন্য অনুরোধ করলেও সহকারী কমিশনার ভূমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের চাপের অযুহাত দেখিয়ে একবছর অধিক সময় কালোখেপন করেও নামজারির করেননি এবং বাতিল বা খারিজের আবেদনে সম্পর্কে কোন শুনানি করেননি এবং বদলি কচুয়া অফিস থেকে বদলী হয়ে যান।

সম্প্রতি অঞ্জু রানী গং সাংবাদিকসহ উপস্থিত হয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি বাপ্পী দত্ত রনির কার্যালয়ে নামজারির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান এধরনের নথির বিষয়ে আমার জানা নেই।

নথি গায়েবের বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি বাপ্পী দত্ত রনি জানান, অঞ্জু রানীর আবেদনটি আমার পূর্বের সহকারী কমিশনার ভূমির সময়ে করা হয়েছে। তাঁর নামজারির আবেদনপত্রটি আমি এসে পায়নি, নতুন করে আবেদন করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এবিষয়ে ভূক্তভোগী অঞ্জু রানী জানান, দীর্ঘদিন আমাকে নামজারির বিষয়ে হয়রানি করে আসছে কচুয়া উপজেলা ভুমি অফিস।আবার জানতে পারলাম গত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবেদন করে কেইস নং ২২৮৭/১৩-১৪ খারিজ নং ২৫১ সৃজন করে ছিল, পরবত্রতীতে তা বাতিল হয়। এবং বারবার স্হানীয় ভূমি অফিস ও উপজেলা ভূমি অফিসে চেষ্টা করেও বি এস হাল দাগের উপর খারিজ চেয়ে না পেয়ে ব্যর্থ হয়ে আবারো অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব) মাধ্যমে খারিজ নেওয়া চেষ্টা করছে।

আমি চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইনে আমার মালিকীয় খ তফসিলের দখলীয় সম্পত্তি নামজারির প্রদান সু দৃষ্টি কামনা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়