পিতা-পুত্র তিনজনসহ আসামী ৩৭৮, গ্রেপ্তার ৫

১১ জুন মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার ১নং ওয়ার্ডের ম্যারকাটিজ রোড ও নিতাইগঞ্জ রোড এলাকার যুবকদের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আল-আমিন খান (৩২) নামে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে নিহত এবং পুলিশসহ ২৫ জন আহত হবার ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুটি মামলায় আসামী করা হয়েছে ৩৭৮জনকে। এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করে ১৩ জুন বৃহস্পতিবার সকালে আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শেখ মুহসীন আলম।

গ্রেপ্তারকৃত ৫ আসামী হলো পুরানবাজারের সঞ্জয় বর্মণ (১৯), জাকির হোসেন (২৮), বাবুল বেপারী (৪৪), ইয়াছিন মহব্বত (২৫) ও রিপন ইসলাম (২৮)। আল-আমিন হত্যার ঘটনায় তার বাবা আঃ মজিদ খান ডেঙ্গু ১২ জুন রাতে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় বাবা-ছেলে তিন জনসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে ১৫০ জনকে।

প্রধান আসামী করা হয় নিতাইগঞ্জ রোডের বাসিন্দা সজীব মাঝি, দুই নম্বর আসামী করা হয়েছে তার পিতা চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি এবং তিন নম্বর আসামী করা হয়েছে তার বড় ভাই সদ্য সমাপ্ত চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩য় স্থানে থাকা মোঃ রাকিব মাঝিকে।

এছাড়া একইদিন সরকারি কাজে বাধা ও সরকারি কর্মচারীর ওপর আক্রমণের ঘটনায় ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় অপর মামলাটি করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল কুদ্দুস সরকার।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শেখ মুহসীন আলম বলেন, ঘটনার পর থেকে পুলিশ জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তার করার জন্যে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

ওসি জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাজিব শর্মাকে ওই ঘটনার দুটি মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয়েছে।

গত ১১ জুন মঙ্গলবার রাতে একই ওয়ার্ডের নিতাইগঞ্জ ও ম্যারকাটিজ রোডের যুবকদের দুই গ্রুপের পূর্বের ঝামেলা, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় মারামারির কেন্দ্রস্থল মধুসূদন হাইস্কুল সংলগ্ন পলাশের মোড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আল-আমিন খান (৩২) নামে ম্যারকাটিজ রোডের বাসিন্দা অটোচালক নিহত হন। আহত হয় পুলিশসহ কমপেক্ষ ২৫জন।