প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৪, ০০:০০
চাঁদপুর গণি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বহুতল ভবন নির্মাণের শুরুতেই অনিয়ম
নির্মাণ সামগ্রীতেই বড় ধরনের অনিয়ম
চাঁদপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী উচ্চ বিদ্যালয় গণি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বহুতল ভবন নির্মাণ কাজের শুরুতেই ব্যাপক অনিয়ম লক্ষ্য করা গেছে। নির্মাণ সামগ্রীতে বড় ধরনের অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। এ কাজটির ঠিকাদারের বিরুদ্ধে এমন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
|আরো খবর
জানা যায়, গণি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানের বহুতল ভবন নির্মাণ কাজের টেন্ডার হলে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পায় এমএমআর এমএমই এমএজি (জেভি) নামক চাঁদপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ৮ম তলা ভবনের জন্য প্রায় ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয় এই ভবনটির নির্মাণ কাজে। কাজটি সম্পন্ন করতে সময় দেয়া হয় দুই বছর বা ২৪ মাস। আর উক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এ কাজটি করার জন্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পৌর কাউন্সিলর আলমগীর গাজী ও ক্ষমতাসীন দলের জেলার শীর্ষ নেতা তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী পার্টনারে কাজটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তি করে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে গত মে মাসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে। এ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি শুরুতেই অনিয়মের মধ্য দিয়ে কাজ শুরু করে। এতে বাধা দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করে দেয়। এদিকে কাজের বর্তমানে ফাইলিং চলছে। যা ৮ম তলা ভবন নির্মাণ করার ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৯০ ফুট গভীরে যাওয়ার কথা থাকলেও এই গভীরতা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন।
শুধু তাই নয়, উক্ত ফাইলিং কাজের ঢালাই করতে থ্রি ফ্রোর বা ৩/৪ পাথর বা বুথা ভাঙ্গা পাথর দিয়ে ঢালাই দেয়ার নিয়ম থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রভাব খাটিয়ে একেবারে গুঁড়া পাথর এবং বালু ময়লা মিশ্রিত ইটের কনা দিয়ে ঢালাইর প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর চাঁদপুর-এর নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসে সে সব ভেজাল প্রশ্নবিদ্ধ মাল (নির্মাণ সামগ্রী) ফেরত পাঠিয়েছি। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, কচুয়া থেকে তার সাইটের উদ্বৃত্ত মাল তিনি এখানে এনে রেখেছেন। প্রশ্ন হলো- তিনি উদ্বৃত্ত মাল রাখার জায়গা কি অন্য কোথাও খুঁজে পান নি? গণি স্কুলের ভবন নির্মাণ কাজের জায়গায় কেনো?
এ সকল অনিয়মের বিষয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্বাস উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কাজের শুরুতেই ঠিকাদারদের সাথে আমাদের অনিয়মের বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
এদিকে এ সকল অনিয়মের বিষয় বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আমিনুর রহমান বাবুলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ সকল অনিয়ম ঠেকাতে আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষ কাজের তদারকির জন্যে দুজন শিক্ষককে কাজের তদারকির দায়িত্ব দিয়েছি। তারা কাজটি দেখাশোনা করছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার দুজনই অনিয়মের কথা অস্বীকার করে।