প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৪, ২১:১১
ফলোআপ
হাজীগঞ্জে খুনের শিকার দাদি-নাতির দাফন সম্পন্ন
হত্যা মামলা দায়ের, আটক ১
গত সোমবার দিবাগত রাতে হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের পশ্চিম রাধাসার বকাউল বাড়িতে কুপিয়ে হত্যার শিকার দাদি হামিদুন্নেছা (৭০) ও নাতি আরাফাত (১২)-এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) বেলা ৩টায় বাড়ির সামনের মসজিদে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে পাশাপাশি তাদের কবর দেয়া হয়। এ সময় হামিদুন্নেছার পরিবার-পরিজনসহ এলাকাবাসী শোকে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন।
|আরো খবর
এদিকে একই দিন সকালে হামিদুন্নেছার তিন ছেলে ইউসুফ, চাচা ইসমাইল ও কামরুল প্রবাস থেকে দেশের বাড়িতে এসে পৌঁছেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত শেষে দাদি-নাতির লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। মূলত ছেলেদের জন্যে হামিদুন্নেছার জানাজা দেরিতে দেয়া হয়।
অপরদিকে পরিবারের দুই সদস্যের দাফন শেষ করে বুধবার রাতে হামিদুন্নেছার পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়ের করার জন্যে থানায় পৌঁছে পরিবারের একাধিক সদস্য। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত মামলার টাইপিং চলমান রয়েছে বলে থানা সূত্র জানা গেছে।
এদিকে দাদি-নাতি খুনের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে পাশের শ্রীপুরের এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে। এই কিশোরের বাড়ি শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে। এই কিশোর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে সংকটাপন্ন চিকিৎসাধীন মারাত্মক আহত হালিমাকে উত্ত্যক্ত করতো বলে জানা গেছে। হালিমাকে শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ ছিলো।
একজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার মুহাম্মদ আব্দুল রশিদ জানান, মামলা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঘর রেমালের প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টির মধ্যে গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা বসতঘরে ঢুকে দাদি-নাতিকে কুপিয়ে খুন করে। একই ঘটনায় নাতিনকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরেই পাশের লোকজন খবর পেয়ে ওই ঘরে ঢুকে দেখে দাদি হামিদুন্নেছা (৭০) ও নাতি আরাফাত (১২) ও নাতনি হালিমা (১৫) গুরুতর আহত। তবে লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই প্রাণ হারান দাদি আর হাসপাতালে নেয়ার পথে প্রাণ হারান নাতি। এ ঘটনায় একই দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ সুপার ও পিবিআই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। গত ২৭ মে সোমবার দিবাগত গভীর রাতে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে হাজীগঞ্জে বাকিলা ইউনিয়ন পশ্চিম রাধাসার বকাউল বাড়িতে। হত্যার শিকার হামিদুন্নেছা ওই বাড়ির সিরাজ বকাউলের স্ত্রী আর নিহত আরাফাত ও আহত হালিমা ওই বাড়ির প্রবাসী ইউসুফের সন্তান। আরাফাত শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং হালিমা একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং নিহত হামিদুন্নেছা বেগম প্রবাসী ইউসুফের মা।