প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৬
দুই আনসার সদস্য কর্তৃক অপহৃত যুবককে নির্যাতনের ঘটনা রফাদফা
ভুয়া ফেসবুক আইডিতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অভিনয় করে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে হানিফ পরিবহণের সুপারভাইজার মাহিনুর আলম সাকিব নামের যুবককে অপহরণ ও আটকে রেখে ব্যাপক নির্যাতন করার অভিযোগে পুলিশ কর্তৃক আটক দুই আনসার সদস্যকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে যুবককে ধরে চাঁদপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডস্থ শিলন্দিয়া গ্রামের গিয়াসউদ্দিন পাটোয়ারীর বাড়ির ভাড়াটিয়া আনসার ভিডিপির সদস্য মোঃ নাজিমের বাসায় দুই দিন শিকলে বেঁধে রেখে নির্যাতন করে। অবশেষে ট্রিপল নাইনে সংবাদ পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ শিকল বাঁধা অবস্থায় অপহৃত মাহিনুর আলম সাকিবকে উদ্ধার করে ও মূল হোতা আনসার ভিডিপি সদস্য নাজিম ও তার ভাই রাকিব হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এই ঘটনায় অপহৃত মাহিনুর আলম সাকিবের মা কোহিনুর বেগম ছেলেকে নির্যাতন করার প্রতিবাদে থানায় অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নেন। কিন্তু আটক আনসার সদস্যদের পরিবাররা বাদীকে মামলা না দেওয়ার জন্যে চাপ প্রয়োগ করে। অবশেষে ঘটনাটি রফদফা হলে রাতে থানা থেকে মুচলেকা রেখে অভিযুক্ত দুই আনসার সদস্য রাকিব ও নাজিমকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
লক্ষ্মীপুর সদরে আনসার ভিডিপির সদস্য রাকিব হোসেনের শ্যালিকার সাথে প্রেম করায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমিক মাহিনুর আলম সাকিবকে লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে ধরে চাঁদপুরে এনে একটি রুমের ভিতর দুদিন আটকে রেখে ব্যাপক নির্যাতন চালায় এবং মুক্তিপণের দুই লক্ষ টাকা দাবি করে পরিবারের কাছে। আপন দুই ভাই আনসার সদস্যের অমানবিক কাণ্ড সবাইকে হতবাক করে দেয়।
এই ঘটনায় সাকিবের পরিবার জানায়, ফেসবুক ও টিকটক-এর মাধ্যমে লক্ষ্মীপুর সদরে আনসার ভিডিপিতে কর্মরত সদস্য রাকিব হোসেনের শ্যালিকা পূর্ণিমা আক্তারের সাথে পরিচয় হয়। পরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মাহিনুর আলম সাকিবকে ফোন করে ডেকে নিয়ে লক্ষ্মীপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে অপহরণ করে তুলে এনে চাঁদপুরে রাকিবের ছোট ভাই নাজিমের বাসায় এনে আটকে রাখে। তারা পরিকল্পিতভাবেই সাকিবকে আটকে রেখে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অবশেষে স্থানীয় এলাকাবাসী ও মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় অপহরণকারীদের বাসা থেকে সাকিবকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। দুই পক্ষকে থানায় নিয়ে আসার পর অবশেষে অভিযুক্ত আনসার সদস্য দুই ভাই এ ধরনের কর্মকাণ্ড করবে না বলে অঙ্গীকার করায় ঘটনাটির সমাধান হয়।