শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৭

চাঁদপুর মাছঘাটে বরফ সংকটে কর্ম হারাচ্ছে ৪শ’ শ্রমিক

হুমকিতে দেশীয় মাছ বেচা বিক্রি

স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর মাছঘাটে বরফ সংকটে কর্ম হারাচ্ছে ৪শ’ শ্রমিক

চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে বরফ সংকটে কর্মহীন হয়ে পড়েছে ৪ শতাধিক শ্রমিক। একই সাথে এখানে দেশীয় চাষের মাছ (জিওল মাছ) বেচা বিক্রি রয়েছে হুমকিতে। ৫ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে মাছঘাটে গেলে বরফ না থাকায় শ্রমিকদের অলস সময় পার করতে দেখা গেছে।

শ্রমিকরা জানান, পদ্মা-মেঘনায় মা ইলিশের অভয়াশ্রমের কারণে প্রশাসন বরফ কলগুলো সব বন্ধ রেখেছে। আমরাও প্রশাসনের সাথে সব বরফ কল বন্ধের সিদ্ধান্তে একমত। কিন্তু ঘাটে আসা পুকুর, খাল-বিল ও ঝিলে চাষ করা দেশীয় মাছগুলো বরফ সংকটে পঁচে নষ্টে হচ্ছে। অনেকে বাধ্য হয়ে পাঁচা মাছ কিনে নিচ্ছেন।

পাইকাররা নিয়মিত বরফ না থাকায় ঘাটে আসতে চাচ্ছে না। এতে করে প্রায় ৪শ’ অধিক শ্রমিক এখন বরফ সংকটে কর্মহীন হয়ে পড়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী জানান, কুমিল্লা দাউদকান্দি হতে চাঁদপুরে গোপনে বরফ ঢুকছে। অথচ চাঁদপুরের বরফ কল বন্ধ। হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন মাছঘাট, ওয়ারলেস, চৌরাস্তা, ভাটিয়ালপুরসহ আরও বেশ কয়েক স্থানে জিওল মাছের পাইকারি বড় বাজার রয়েছে। স্থানীয় আইস ফ্যাক্টরি হতে বরফ নিয়ে মৎস্য ব্যবসায়ীরা তাদের আড়তে আসা চাষের রুই কাতল, পাঙ্গাশসহ অন্যান্য মাছ সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ করতেন। এখন তারা স্থানীয়ভাবে বরফ না পেয়ে মাছ নিয়ে বিপাকে পড়ছেন।

অন্য জায়গায় গোপনে বরফ আসার খবর শুনা গেলেও মাছের সবচেয়ে বড় মাছঘাট বড়স্টেশনেই বরফ নেই। আর এতে বুঝা যায় এখানকার ব্যবসায়ীরা প্রশাসনিক সকল সিদ্ধান্তে পাশে রয়েছে।

ঘাটের শ্রমিক মোঃ হোসেন বলেন, আমরা শুধু জিওল মাছ বিক্রি করছি। শরিয়তপুর থেকে আসা রুই, কাতল, কার্প, মৃগেলসহ বাংলা মাছগুলো এবং খুলনা থেকে আসা চিংড়ি মাছগুলো ঘাটে নিয়ে বসে আছি। কিন্তু বরফ না থাকায় পাইকারেরা মাছ নিতে আগ্রহী নয়। আর এতে করে দিনে লাখ লাখ টাকার মাছ প্রতিদিন ক্ষতির সম্মুখে রয়েছে। বড়স্টেশনের প্রায় অর্ধশত আড়তদারও এখন বড় ধরনের লোকসানের হুমকিতে রয়েছে। তাই ঘাটে অন্তত একটি বরফ কল চালুর অনুমতি প্রয়োজন।

এ বিষয়ে চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শবে বরাত সরকার বলেন, ইলিশ মাছ বেচা বিক্রি ও সংরক্ষণে ঘাটের কেউ যদি জড়িত থাকে। তাহলে আমরা সবাই মিলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। কিন্তু জিওল মাছের বাজার ধরে রাখতে অন্তত একটি বরফকল চালু রাখার অনুমতি না দেয়া আমাদের জন্যেও বড় ধরনের ক্ষতি। বরফ না থাকায় পাইকাররাও এখানে জিওল মাছ কিনতে আসছে না। যার কারনে এখানের প্রায় ৪শ’র অধিক শ্রমিক এখন অভাব অনটনে অলস সময় কাটাচ্ছে। তাই অন্তত একটি বরফ কল চালুর অনুমতি দিতে প্রশাসনের প্রতি আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়