প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২৩
পদ্মায় ভেসে উঠলো ৩২টি গরু ও একজনের মরদেহ
পদ্মা নদীর মুকসুদপুরে তিনদিন পরে ভেসে উঠলো ৩২টি গরু ও একজনের মরদেহ। গত ২৭ ডিসেম্বর ফরিদপুরের টেপা খোলা হতেএকটি ট্রলারে অর্ধশতাধিক গরু নিয়ে বেপারীরা নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ট্রলারটি পদ্মা নদীর মেঘনা ঘাট সংলগ্ন আসার পর ট্রলারটির তলদেশ ফেটে গিয়ে ডুবতে থাকলে ট্রলারে অবস্থানরত অর্ধশতাধিক গরু রশিতে বাধা ছিলো। এর মধ্যে হতে ১৮টি গরুর রশিকাটা সম্ভব হলে উক্ত গরুসহ যাত্রীরা নদীতে ঝাঁপিয়ে প্রাণ রক্ষা করতে পারলেও দুজন যাত্রীসহ ৩২টিগরু নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে নিখোঁজ দুজন, ট্রলারও গরুগুলোকে উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন । ২৯ ডিসেম্বর ভোরে মুকসুদপুর নামক স্থানে নিখোঁজ মনিরের মরদেহ ও গরুগুলোকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা । সংবাদটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে মুকসুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হান্নান খান, বাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু আল নাসের তানজিল ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। স্থানীয়পুলিশ ফাঁড়ির সহযোগিতায় নিহত মনিরের লাশ উদ্ধার করেন।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে,মনিরের মরদেহ তার পিতা মোতালেব মাতব্বরের কাছে হস্তান্তর করেন। মনিরের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলা বাগড়া ইউনিয়নের জানাবাদ গ্রামে। একজনের মরদেহ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেল নিখোঁজ রয়েছে সিয়ামও ট্রলারটি । সিয়াম দুর্ঘটনায় নিহত মনিরের ভাগ্নে বলে স্থানীয়রা জানান।