শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাজীগঞ্জে তাল গাছ থেকে পড়ে আহত যুবকের মৃত্যু
  •   অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন চৌধুরী মারা গেছেন
  •   ছেলের মামলা-হামলায় বাড়িছাড়া বৃদ্ধা মা
  •   মতলব উত্তরে ইকবাল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
  •   মতলবে ১০ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩

প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ২২:১৪

বাবুরহাট এলাকায় দোকান সরিয়ে ফেলতে হুমকির অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
বাবুরহাট এলাকায় দোকান সরিয়ে ফেলতে হুমকির অভিযোগ

চাঁদপুর পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডস্থ বাবুরহাট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন সংলগ্ন মেসার্স শেখ এন্টারপ্রাইজ হার্ডওয়্যারের দোকান সরিয়ে ফেলতে হুমকি দিলেন মরহুম মোখলেছুর রহমানের মেয়ের জামাই মনির হোসেন।

২৪ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে মেসার্স শেখ এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ ফারুক শেখ বলেন, আমি এখানে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছি। আমার প্রতিষ্ঠানটির ভূমি সরকারি ১/১নং খতিয়ানভুক্ত। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পেছনে সিরাজুল ইসলাম হাজরার আনুমানিক ১২ শতক, মৈশাদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মোখলেছুর রহমান মিজির ৬ শতক, সবশেষে মরহুম মোখলেছুর রহমানের মেয়ে জামাই মনির হোসেনের ৪১ শতাংশ জমি ডিপি কেইস নং ০৮/ ৮৪-৮৫ মূলে লিজ নিয়ে বসবাস করছে। সব জায়গাই শিলন্দীয়া মৌজার ৯৩ খতিয়ানের সাবেক ১৪ দাগের। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি যে স্থানে সেটা কারো নামে লিজ নেই। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স করার পর এই জায়গাটি অবশিষ্ট থাকে। এই স্থানে যেহেতু আমাদের পূর্বেই ব্যবসা ছিলো তাই আমি এই জায়গায় হার্ডওয়ারের দোকান দিয়ে ব্যবসা করছি। আমার দোকানের ট্রেড লাইসেন্স নং-০১৩২২ এবং চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ মিটার নং ১০৭৮০১৬৪৩৬০৪৩। আমার দখলে থাকা ২ শতাংশ জমি আমার নিজের নামে লিজ পাওয়ার জন্য মাননীয় জেলা প্রশাসক বরাবর ২৩ নভেম্বর একটি দরখাস্ত দেই। ৪র্থ প্লটে থাকা মনির হোসেন তার লিজের ৪১ শতাংশ জমি দখলে থাকা সত্বেও আমার দোকানের ২ শতাংশ জায়গা দখল করার জন্য পাঁয়তারা করে যাচ্ছে। আমাকে সরানোর জন্য বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমি লিজের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর কেন দরখাস্ত দেওয়ার কারণে মনির হোসেন ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় ও ২৪ নভেম্বর দুপুরে প্রকাশ্যে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমি যদি জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে আমার লিজের জন্য দেওয়া দরখাস্ত প্রত্যাহার না করি তাহলে সে ও তার ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে আমাকে মেরে ফেলবে ও দোকান ভেঙ্গে দিবে বলে বেড়াচ্ছে। মনি হোসেন এই জমি লিজের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর দরখাস্ত করবে। তার ভয়ে আমি ও আমার পরিবার খুব আতঙ্কে রয়েছি। এ বিষয়ে আমরা আইনি ব্যবস্থাও নিতে যাচ্ছি। এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি আমার পরিবারের একমাত্র জীবিকার মাধ্যম। আমি ও আমার পরিবারের বিশ্বাস মাননীয় জেলা প্রশাসক আমাদেরকে এই ২ শতাংশ জমি লিজের বন্দোবস্ত করবে।

এ ব্যাপারে মনির হোসেন বলেন, আমাদের দোকানে তাকে বসানো হয়েছে। তাঁর কাছে বৈধ কাগজপত্র কি আছে দেখাতে বলেন। যেখানে কাগজপত্র নিয়ে বসতে বলবে সেখানে আমরা বসতে রাজি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়