প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
লঞ্চের কেবিনে নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার রহস্য উন্মোচন
২০১৯ সালের ১৭ জুন ঢাকা-চাঁদপুর নৌপথে চলাচলকারী এমভি মিতালী-৭ লঞ্চের কেবিনে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হন নিলুফা ইয়াসমিন (৫৫)। এই হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দীর্ঘ ৪ বছরেরও বেশি সময় পর ওই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হলো। এ ঘটনায় দেলোয়ার নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৯ সালের ১৭ জুন হত্যার আগে নিলুফা ইয়াসমিনকে লঞ্চের কেবিনে ধর্ষণ করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি হাজীগঞ্জে। হত্যার কয়েক বছর আগেই নিহত ওই নারীর স্বামী মারা যান। তার একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। এর মধ্যেই দেলোয়ারের সঙ্গে পরিচয় হয় নিলুফার। যার শেষ পরিণতি ধর্ষণ ও হত্যা।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত দেলোয়ার তার প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীরকে ফাঁসাতে নিলুফারকে সঙ্গে নিয়ে লঞ্চের কেবিন বুকিংয়ে নিজের নাম জাহাঙ্গীর বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া নিজ মোবাইল নম্বরের স্থলে ভুক্তভোগীর নম্বর উল্লেখ করেন। যা পুলিশের দীর্ঘ তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। এটি ছিলো একটি পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
এ বিষয়ে গতকাল পিবিআই সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানিয়েছেন তদন্ত সংস্থাটির প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৭ জুন দুপুরে সদরঘাটের লালকুঠি ঘাটে নোঙ্গর করা এমভি মিতালী-৭ লঞ্চ থেকে নিলুফারের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে সেটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্যে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (মিটফোর্ড)-এ পাঠানো হয়েছিলো।