প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২১, ২৩:৩৮
ফরিদগঞ্জে ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে জরিমানা করার কারণে ক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ীদের কর্তৃক কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। উপজেলার বিরামপুর বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
|আরো খবর
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১২নং চরদুখিঃয়া পশ্চিম ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিরামপুর বাজারে তদারকিতে যান চাঁদপুর জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নুর হোসেন। এসময় তিনি ভোক্তা অধিকার বিরোধী কাজ করার অপরাধে, ভোক্তা সংরক্ষণ আইন ২০১৯ মোতাবেক প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ৬ টি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু জরিমানা আদায় নিয়ে বিরামপুর বাজার ব্যাবসায়ীরা স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকে ঘন্টাব্যাপী অবরুদ্ধ করে রাখেএবং জরিমানার টাকা ফেরত চায়।
এই বিষয়ে চাঁদপুর জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নূর হোসেন জানান, ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক মূল্যে পণ্য বিক্রি,মূল্য তালিকা টানানো ও নিয়মিত হালনাগাদ করা এবং ক্রয় বিক্রয় সংরক্ষণ না করার কারণে স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুরেএর দোকানে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় মিজানুর রহমান তার টাকা ফেরত চায় এবং তর্কবিতর্ক শুরু করে। এক পর্যায় তার ছেলে নাইম এসে তাকে বুঝিয়ে তার পকেট থেকে তারা বাবাকে টাকা দেন। আমরা আমাদের জরিমানার টাকা আদায় করে নিয়ে এসে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (১৭ই আগস্ট) থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি
যদিও ব্যবসায়ী ও ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান জানান,সবসময় ভোক্তা অধিদপ্তরের লোক এবং ম্যাজিস্ট্রেট শুধু বিরামপুর বাজারে এসে মূল্য তালিকা না টানানো কারণে জরিমানা করে। কিছু দিন আগে এসে ভোক্তা অধিদপ্তর জরিমানা করছে, তাই আমার মেজাজ গরম হওয়ার কারণে তাদের সাথে তর্কি জড়িয়ে যাই। পরে আমার জরিমানার টাকা আমাকে ফেরত দেয়। ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহীদ হোসেন জানান, ইউপি সদস্য ও ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি । তদন্ত সাপক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা শিউলি হরি জানান, জনস্বার্থে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া মোটেও ঠিক হয়নি,আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।