বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দুকর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দুকর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ
সোহাঈদ খান জিয়া ॥

খোদ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাই মাদক বিক্রির সাথে জড়িত। এরা নিজেরা মাদক বিক্রির পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ীদের থেকে নিয়মিত মাসোহারা নেন। চাঁদপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দু’কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রয়েছে এসব অভিযোগ। এ দু’কর্মকর্তা হচ্ছেন সহকারী উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ও আরেক সহকারী উপ-পরিদর্শক পেয়ার হোসেন। এরা দুজন দীর্ঘদিন ধরে একই জেলায় চাকুরি করার সুবাদে বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীর সাথে তাদের সংখ্যতা গড়ে উঠে। যার ফলে মাদক ব্যবসায়ীরা অনেকটা নিরাপদেই মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা যায়, এ দু’কর্মকর্তা অভিযানের পূর্বে মাদক ব্যবসায়ীদের ফোন করে অভিযানের বিষয়ে জানিয়ে দেয়। যার ফলে তাদেরকে আটক করা সম্ভব হচ্ছে না। এর বিনিময়ে তারা পেয়ে থাকে মাসে বড় অংকের মাসোহারা। এছাড়া এ দু’কর্মকর্তা চাঁদপুর সদর উপজেলার মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলার মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। সেখানে পেয়ে থাকেন মাসোহারা। এরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান করতে গিয়ে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দিবে বলে হুমকি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়।

যেমন চাঁদপুর সদরের চান্দ্রা এলাকার সাজেদা বেগমের নিকট হতে ৪০ হাজার টাকা, মতলবের নায়েরগাঁও এলাকার আওলাদের নিকট হতে ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এরকম অনেক নীরিহ মানুষকে তারা বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে।

একটি সূত্র জানায়, এরা দু’জন একই জেলায় দীর্ঘদিন ধরে চাকুরি করার সুবাদে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের সাথে আঁতাত করে ব্যবসা করে আসছে। যার ফলে বড় মাদক ব্যবসায়ীরা আইনের হাতে ধরা পড়ছে না।

এ ব্যাপারে সচেতন মহল বলেন, এ দু’কর্মকর্তা ৪/৫ বছর একই স্থানে চাকুরি করার কারণে মাদক বয়নসায়ীদের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে। যার ফলে তারা এদেরকে মাসিক মাসোহারা দিয়ে ব্যবসা করে থাকে। এ দু’কর্মকর্তার সাথে সম্পর্ক থাকায় আগের মতো মাদক ব্যবসায়ীরা আটক হচ্ছে না। প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে সচেতন মহলের প্রত্যাশা।

এ ব্যাপারে সাইফুল ও পেয়ার হোসেনকে ফোন দিলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়