প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৩, ২২:৫৫
হাজীগঞ্জে ছাত্রলীগের দেড় ঘন্টা সড়ক অবরোধ
যোগ্যদেরকে ছাত্রলীগের কমিটির যোগ্য স্থানে পদ দেবার দাবীতে পুরো দেড় ঘন্টা চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে হাজীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের একাংশ। শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত হাজীগঞ্জের পৌর এলাকার মকিমবাদ ও টোরাগড় গ্রামে আলাদাভাবে সড়ক অবরোধে অংশ নেয় ছাত্রলীগ। সবার সাথে আলোচনা করে হাজীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের কমিটি দেয়া হবে এমন বিষয়টি মুঠোফোনে পুলিশ অবরোধকারীদেরকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিজি আশ্বস্ত করলে সড়ক অবরোধ তুলে নেয় অবরোধকারী ছাত্রলীগের এই অংশটি। তবে কাজে কথায় এক না হলে ফের সড়ক অবরোধে যাবে বলে জানায় অবরোধকারী নেতৃবৃন্দ।
|আরো খবর
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি সময় জেলা ছাত্রলীগ হাজীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দিয়েছে বা আজকেই শুক্রবার দেয়া হবে এমন একটি গুঞ্জন উঠে। এমনকি কাকে কাকে মূল পদ দেয়া হয়েছে তা নিয়ে ও গুঞ্জন উঠে। এরপরেই হাজীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের একাংশ বিকেল ৪টার দিকে আলাদাভাবে পৌর এলাকার টোরাগড় ও মকিমাবাদ গ্রামে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়কে অবোরধ করে। এ সময় সড়কের দুইপাশে কয়েক হাজার গণ পরিবহনসহ সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ঘটনার কিছু পরেই হাজীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত)সহ পুলিশের একাধিক টিম মকিবাবাদ এলাকায় পৌছে অবরোধারীদের সাথে কথা বলে অবরোধ তুলে দেবার চেষ্টা করেন। কিন্তু জেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ থেকে এ বিষয়ে কোন আস্থার কথা না পেলে অবরোধ তুলবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন অবরোধে অংশ নেয়া নেতৃবৃন্দ।
অররোধের শুরু থেকে ঘটনার প্রায় দেড় ঘন্টা পরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিনের সাথে অবরোধের স্থান থেকে মুঠোফোনে কথা বলেন হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম, অবরোধকারী নেতা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম শান্ত, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ন সম্পাদক আবদুর কাদের সবুজ। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিজি মুঠোফোনে সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, সবার সাথে আলোচনা করে হাজীগঞ্জের ছাত্রলীগের কমিটি করা হবে। এর পরেই অবরোধকারীরা সড়ক থেকে সরে গেলে পুলিশ দ্বাড়িয়ে থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক করে দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম শান্ত, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ন সম্পাদক আবদুর কাদের সবুজ যৌথ বিবৃতিতে বলেন, কমিটিতে আমরা যাদের নাম শুনতে পাচ্ছি তাদের মধ্যে বিবাহিত, নেশাকারী, অছাত্র রয়েছে। তাই আমরা দাবী জানাচ্ছি ছাত্রলীগ করতে যে যে যোগ্যতা লাগে তা মেনে কমিটি দেয়া হউক। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিজি আমাদেরকে মুঠোফোনে যেভাবে আশ্বস্ত করেছেন আমরা তা মেনে নিয়েছি।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, মুঠোফোনে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আমাকে আস্তস্থ করে বলেছেন সবার সাথে আলোচনা করে হাজীগঞ্জের কমিটি দিবেন। আমার থেকে এমন বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরে অবরোধে অংশ নেয়া ছাত্রলীগ অবরোধ তুলে নেয়।