প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৩, ২০:০২
কচুয়ায় যুবতীকে ধর্ষণের ঘটনায় আটক ১
কচুয়া পৌরসভাস্থ বিশ্বরোড এলাকায় শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ২৪ বছর বয়সী আঞ্জুমা (ছদ্মনাম) নামের এক যুবতীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সুমন (৩৩) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। রবিবার সকালে আঞ্জুমা (ছদ্মনাম) নিজে বাদী হয়ে কচুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৪ তারিখ-১৮/০৬/২০২৩ইং।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আঞ্জুমা সুরমা বাস চালক রফিকুল ইসলামের মেয়ে। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মহামায়া এলাকায়। বাস চালক রফিক কচুয়া পৌরসভা সংলগ্ন সাবেক ঈগল বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করে আসছে। শনিবার রাত ২টার পর আঞ্জুমাকে (ছদ্মনাম) বিশ্বরোড এলাকায় দেখতে পেয়ে চমক হাসপাতাল সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত টিনসেড ঘরে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে সুমন ও আবদুল্লাহ আল মামুন মিলে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে। সুমন কড়ইয়া গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে এবং আব্দুল্লাহ আল মামুন কোয়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস বেপারীর ছেলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভা এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, আঞ্জুমা (ছদ্মনাম) কচুয়া পৌরসভা এলাকায় প্রতিদিন রাত ২-৩ টা পর্যন্ত ঘুরাঘুরি করে থাকে। এবং চাঁপই ও মডেল মসিজদ সংলগ্ন এমরান মাস্টারের একতলা বাড়িতে একটি কক্ষে প্রায় সময় বিভিন্ন যুবকদের নিয়ে গিয়ে মাদক সেবন করে। তাছাড়া তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ব্ল্যাকমেইল এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়। কিন্তু মান সম্মানের ভয়ে কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ সবাই। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আঞ্জুমা’র ধানবাজার সংলগ্ন ব্রীজের উপর ধুমপানের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে আঞ্জুমাকে রাস্তায় ধুমপান করার সময় বলতে দেখা গেছে “কি ভিডিও করছ বেডা খালি একটাবার সুযোগ পাই কচুয়াতে লেডি ডিলার হয়ে দেখিয়ে দিবো”। তাছাড়া তার এহেন কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলো পৌরবাসী।
তবে আঞ্জুমা যতই খারাপ হোক না কেন, যত অন্যায় ই করুক না কেন তার জন্য আইন রয়েছে। প্রয়োজনে তাকে রিহ্যাব সেন্টারে দেওয়া হউক। কিন্তু তাকে যারা ধর্ষণ করেছে তারা অন্যায় করেছে। তাকে ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িতদের উপযুক্ত বিচার করে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল জানান, ধর্ষণের ঘটনায় সুমন নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে অপর আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অপরদিকে বাদী আঞ্জুমাকে (ছদ্মনাম) মেডিকেল পরীক্ষার জন্য চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।