শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ২০:০০

স্যাকমো অভিজ্ঞ ডাক্তার সেজে রোগী দেখছেন ফরিদগঞ্জে

এমরান হোসেন লিটন
স্যাকমো অভিজ্ঞ ডাক্তার সেজে রোগী দেখছেন ফরিদগঞ্জে

নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) মোঃ হেলাল উদ্দিন। চেম্বার খুলে চাঁদপুরের ফরিদঞ্জে শিশু, মেডিসিন, গাইনি, চর্ম-যৌন ও বাত ব্যাথা রোগের অভিজ্ঞ ডাক্তার পরিচয়ে উপজেলার কামতা বাজারের রওশন আরা মেডিকেল হলে দীর্ঘদিন যাবৎ রোগী দেখছেন।

জানা যায়, তিনি বিভিন্ন উপজেলায় দীর্ঘদিন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে চাকরি করেন। এক সময় তিনি ফরিদগঞ্জ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে মুন্সিরহাট ও কড়ৈতলি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকরি করেছেন। সে সময় তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগের কারণে তাকে হাইমচর উপজেলায় এবং হাজীগঞ্জ উপজেলা কয়েকবার বদলি করা হয়। কিন্তু তার চেম্বার করা বন্ধ না হওয়ায় তাকে হাতিয়া উপজেলায় বদলি করা হয়। গত তিনবছর ধরে তিনি সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সাথে ফরিদগঞ্জের ওই ফার্মেসিতে রোগী দেখেন। প্রতি শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয়ে তিনি রোগী দেখেন। প্রত্যেক রোগীর কাছ থেকে তিনি ভিজিট নেন ৩০০ টাকা।

উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হেলাল উদ্দিন বলেন, তিনি নাকি হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান খাদিজা রহমানের সাথে সমন্বয় করেই তিনি এখানে রোগী দেখছেন।

এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ চৌধুরী জানান, এমবিবিএস এবং বিএমডিসির নিবন্ধনপ্রাপ্ত না হয়ে ডাক্তার পরিচয় দেওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন জানান, হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে এর আগেও এধরনের অভিযোগ উঠেছিল। তাকে আমরা সতর্ক করেছি এবং অঙ্গিকার নিয়েছিলাম, ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে আর যেন লিপ্ত না হয়।

বর্তমান হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা খাদিজা রহমান জানান, আজকে আমি হেলাল উদ্দিনের খোঁজ করে তাকে পেতে ব্যর্থ হয়েছি। বিষয়টির সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, ওনাদের রোগী দেখার অনুমতি আছে। সে ক্ষেত্রে শুধু প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারবে। কিন্তু নামের আগে ডাক্তার লিখতে পারবে না। এমবিবিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ নামের আগে ডাক্তার লিখতে পারবে না। সেটি করলে তা অপরাধ হবে। হেলালের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাই করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়