প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২২, ২২:১৩
সেলিম খানের জামিন শুনানি ২৭ নভেম্বর
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় চাঁদপুর সদর লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সেলিম খানের জামিন শুনানি পিছিয়েছে। ফের আগামী ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
|আরো খবর
সোমবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান এ আদেশ দেন।
এদিন জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। সে মোতাবেক আসামিপক্ষ জামিন শুনানি করেন। অপরদিকে, দুদক জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক ফের শুনানির জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। গত ৮ নভেম্বর সেলিম খানের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম জামিনের আবেদন করেন। এরপর দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিন শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আছাদুজ্জামান শুনানির জন্য ১৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
গত ১২ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান সেলিম খানের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে, ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামানের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন সেলিম খান। শুনানি শেষে ১২ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদনসহ জামিন শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক।
এছাড়া গত ২০ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন। একইসঙ্গে তাকে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
সেলিম খানের বিরুদ্ধে ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ মামলা করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান বাদী হয়ে গত ১ আগস্ট এ মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, সেলিম খান অবৈধ উপায়ে ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জন করে নিজ ভোগদখলে রেখেছেন। এছাড়া তিনি ৬৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
পরে ওই মামলায় আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে সেলিম খান আবেদন জানান। তার সে আবেদনের শুনানি অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সেলিম খানকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তার জামিন আবেদন খারিজ করে গত ১৪ আগস্ট বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
তবে সেই আদেশের অনুলিপিতে মামলা নাম্বার ভুল থাকার কারণে ফের সেলিম খানের পক্ষে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়। পরে নতুন আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর সেলিম খানকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্টের পৃথক আরেকটি বেঞ্চ। তার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সে জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করে দুদক।