বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০

ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনির বিরুদ্ধে ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগ

ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনির বিরুদ্ধে ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার ॥

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৩নং কল্যাণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে এবার ভিজিডি কার্ডের দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন উক্ত ইউনিয়নের ৩৭ জন নারী। গত ১৮ সেপ্টেম্বর চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক বরাবরে ৩৭ জন নারী স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রে দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে এ আবেদন জানান। যার অনুলিপি চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপ-পরিচালক জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বরাবর দেয়া হয়েছে।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ২০২১-২২ অর্থ বছরে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৩নং কল্যাণপুর ইউনিয়নের ১০০টি পরিবারের জন্যে ১০০টি ভিজিডি কার্ডের বরাদ্দ দেয়া হয়। ফলে উক্ত পরিবারগুলো এই কার্ডের বিনিময়ে মাসে ৩০ কেজি করে চাল সরকারের পক্ষ থেকে উপহার পাওয়ার কথা। এই কার্ড প্রাপ্তির জন্যে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলো অনলাইনে আবেদন করেন। অনলাইনের আবেদনের প্রেক্ষিতে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ১০০টি পরিবারকে ১০০টি ভিজিডি কার্ডের জন্য নির্ধারণ করেন।

এই ১০০ পরিবারের মধ্যে ৩৭ পরিবারের ৩৭ জন নারী গত ১৭ মাসে কোনো চাউলতো দূরের কথা ভিজিডি কার্ডের রংটা কী রকম বা ভিজিডি কার্ডটি কী তাও তারা দেখেননি।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো গত ১৭ মাসে উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন মেম্বারদের কাছে গিয়ে এ বিষয়ে কোনো প্রতিকার না পেয়ে এই পরিবারগুলো জেলা প্রশাসকের বরাবরে অভিযোগ করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানান।

এদিকে এই অনিয়মের বিরুদ্ধে চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ভারপ্রাপ্ত) সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অভিযোগের ঘটনাটি সত্য। এ ঘটনা আমরা বের করেছি। শুধু তাই নয়, ভিজিডি কার্ডের উপকারভোগীদের মাস্টার রুলের তালিকা করে চাল বিতরণ করছিলো। পরবর্তীতে আমি নিজে বিষয়টি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে তদন্ত করে দেখেছি ৩৭ জন কার্ডধারী কার্ড পায়নি। পরে আমি চাল বিতরণ বন্ধ করে দেই। অতএব এটি সত্য ঘটনা, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়