প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
চোর-ডাকাত আতঙ্কে কচুয়াবাসী
কচুয়ায় গত ক’দিনে বৃদ্ধি পেয়েছে চুরি ও ডাকাতি। পুলিশি পাহারা জোরদার করা হলেও থামছে না চুরি-ডাকাতি। শুক্রবার রাত ৩টার দিকে কড়ইয়া ইউনিয়নের নলুয়া বাজারে তিন ভাই শপিং সেন্টারের দ্বিতীয় তলার সার্টারের তালা ভেঙ্গে চোর ভেতরে প্রবেশ করে দোকানে থাকা নগদ আড়াই লাখ টাকাসহ দোকানের সিসি ক্যামেরার ডিভিআর মেশিন চুরি করে নিয়ে যায়।
|আরো খবর
একইদিন উপজেলার সেঙ্গুয়া বাজারের বেলাল স্টোরে চুরির ঘটনা ঘটে। স্টোরে থাকা নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৪টি মোবাইল সেট নিয়ে যায় বলে জানান দোকান মালিক মোঃ বেলাল হোসেন।
বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে আশ্রাফপুর ইউনিয়নের সানন্দকরা গ্রামে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল ওই গ্রামের রমেশ মাস্টারের বিল্ডিংয়ের জানালার গ্রীল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে আলমিরা ভেঙ্গে নগদ দেড় লাখ টাকা ও ২৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে সটকে পড়ে।
গত সোমবার মধ্যরাতে উপজেলার দোয়াটি-তিলকিয়াভিটা গ্রামের আকবর আলীর বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাত দল নগদ ৩ হাজার ৫শ’ টাকাসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায় বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার।
গত ৫ আগস্ট দিন-দুপুরে পালাখাল উত্তর বাজারে রাছেল স্টোর, বাইছারা বাজারে মফিজুল ইসলাম হালদার ট্রেডার্সে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়। দুটি দোকান থেকে চোরেরা লুট করে নেয় নগদ ৫ লাখ ৬২ হাজার টাকা। এছাড়া একইদিন রাতে বিতারা গ্রামের ছাদেক মিয়ার গ্যারেজ থেকে দু’টি অটোরিকশা চুরি হয়।
পক্ষকাল পূর্বে উপজেলার আইনগিরি গ্রামের মাওঃ ফখরুল ইসলামের ঘরে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়। চোর চক্র নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। ইদানীং উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে এমনি চুরি-ডাকাতি সংঘটিত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
২০২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর একই রাতে দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে আশ্রাফপুর গ্রামে মাহমুদা চৌধুরী ও আমুজান গ্রামের ডাক্তার রুবেলের বাড়িতে ডাকাতির সংঘটিত হয়। উভয় ডাকাতিতে বাড়ির লোকজনদেরকে মারধর করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৫ লক্ষাধিক টাকাসহ প্রায় ১৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। ডাকাতদের মারধর ও ভয়-ভীতিতে ক’জন আতঙ্কজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়া রোগী আজও সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি। কিন্তু এ ডাকাতির ঘটনাগুলোর সাথে জড়িতের শনাক্ত ও মালামাল উদ্ধার কোনোটাই হয়নি। পরপর চুরি-ডাকাতির ঘটনায় কচুয়াবাসী আতঙ্কে রয়েছে।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিন সানন্দকরার রমেশ মাস্টারের বাড়ির ঘটনাটি ডাকাতি নয় চুরি বলে দাবি করে জানান, চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের নির্দেশে চুরি-ডাকাতি রোধে সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশিসহ পুলিশি টহল ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা হয়েছে।