প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২২, ১৯:৪২
মতলবে ৭০ দিন পর মরদেহ উত্তোলন
মতলব দক্ষিণ উপজেলায় আদালতের নির্দেশে মজিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তির মরদেহ ৭০ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করেছে প্রশাসন।
|আরো খবর
মুন্সিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে আজ ২ জুলাই শনিবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) সেটু কুমার বড়ুয়া, মুন্সিগঞ্জ সদর থানা ও মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশের উপস্থিতিতে পারিবারিক কবরস্থান থেকে তাঁর মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের ঘোনা গ্রামের হাজী বাড়ীর মজিবুর রহমান মুন্সিগঞ্জের সিপাইপাড়ায় মদিনা প্লাজায় রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করতেন। প্রায় ১০ বছর আগে তিনি মুন্সিগঞ্জের বল্লোল এলাকার রিনা বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে রিনা বেগম স্বামী মজিবুরকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিতেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।
চলতি বছরের ২২ এপ্রিল মজিবুর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন জানিয়েছে রিনা বেগম। পরে তার স্বামীর মরদেহ মতলবে পাঠিয়ে দেন। প্রথমে মজিবুর রহমানের পরিবার তা বিশ্বাস করে মরদেহ দাফন করে ফেলে। কিন্তু মরদেহের সঙ্গে মজিবুরের স্ত্রী না আসায় সন্দেহ হলে মজিবুরের বাবা বাদী হয়ে রিনা বেগম, রেস্টুরেন্টের কর্মচারী শাওনসহ আরও অজ্ঞাত ছয়জনকে আসামি করে মুন্সিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। সেই মামলায় আদালতের নির্দেশে শনিবার দুপুরে প্রশাসন মজিবুরের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে।
মজিবুরের বোন খাদিজা আক্তার বলেন, আমার ভাইকে ভাবি ও তার লোকজন মেরে ফেলেছে। ওরা আমাদের খবর পর্যন্ত দেয়নি।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মুজিবরের পিতা খলিলুর রহমান বলেন, সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য রিনা বেগম, শাওন ও আরও কয়েকজন মিলে পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেটু কুমার বড়ুয়া বলেন, মুন্সিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশক্রমে মজিবুরের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। পরে তা ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে ফের দাফন করা হবে।