প্রকাশ : ২১ জুন ২০২২, ০০:০০
অব্যাহত লোডশেডিংয়ে জনগণ অতিষ্ঠ
ফরিদগঞ্জের রূপসায় পল্লীবিদ্যুতের পাঁচ কর্মকর্তা অবরুদ্ধ

বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে ফরিদগঞ্জে পল্লীবিদ্যুতের পাঁচ কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয় বিক্ষুদ্ধ জনতা। বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করতে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতার এমন রোষানলে পড়ে এই পাঁচ কর্মকর্তা। ২০ জুন সোমবার উপজেলার রূপসা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চিয়তা দিয়ে কর্মকর্তাদের মুক্ত করে নিয়ে আসে।
|আরো খবর
জানা গেছে, উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী রূপসা বাজারসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং হচ্ছিল। সর্বশেষ গত ২৪ ঘন্টায় মাত্র দুই ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিলো ওই এলাকাগুলোতে। এরই মধ্যে ২০ জুন সোমবার সকালে চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২-এর ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসের জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালামের নেতৃত্বে পল্লীবিদ্যুতের একটি টিম রূপসা এলাকায় বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করতে গেলে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে স্থানীয় জনতা ও ব্যবসায়ীরা। তারা এ সময় পল্লীবিদ্যুতের ওই পাঁচ কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে স্থানীয় কিছু লোকজন তাদেরকে রূপসার জমিদারদের সর্বশেষ মোতাওয়াল্লি সৈয়দ মেহেদী হাসান চৌধুরীর বাড়িতে এনে নিরাপদে রাখা হয়। পরে সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরবর্তীতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লোকজনকে শান্ত করে ফরিদগঞ্জ থানার এসআই একরামুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
স্থানীয় আমিরুল ইসলাম পাটোয়ারী জানান, গত এক সপ্তাহ যাবৎ প্রতিদিন গড়ে এক থেকে দেড়ঘন্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছে না রূপসাবাসী। বিদ্যুতের এই অসহনীয় লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। পাশাপাশি সকল স্টেশনারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফ্রিজের মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
রূপসা বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি ফারুক খান জানান, রুপসা এলাকায় প্রতিনিয়ত লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যুৎ অফিসের ক’জনকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে আমিসহ অন্যরা এসে মীমাংসা করে দিয়েছি। একই সাথে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, রূপসা এলাকায় আগামী দিনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিবে এবং জাতীয় গ্রেড থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুৎ পুরো উপজেলায় সমপরিমাণ বন্টন করা হবে।
ব্যবসায়ী আজাদ মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সৈয়দ মেহেদী হাসান চৌধুরীর সহযোগিতায় পল্লী বিদ্যুতের লোকজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার এসআই একরামুল ইসলাম বলেন, জনতা বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনকে আটকে রেখেছে বলে অভিযোগের ভিত্তিতে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুতের এজিএম (কম) রায়হানুল ইসলাম বলেন, আমার পল্লীবিদ্যুতের দু’জন কর্মীকে আটক করার খবর পেয়ে আমিসহ আরো দু’জন ঘটনাস্থলে গেলে আমাদেরও স্থানীয় জনতার রোষানলে পড়তে হয়। পরবর্তীতে আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।