প্রকাশ : ৩০ মে ২০২২, ২২:০৯
নির্বাচনী সহিংসতায় মামলায় জাহিদ মেম্বার আটক
সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রার্থীদের সহিংসতায় সরকারি কাজে বাঁধা সৃষ্টির অভিযোগে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়েরকৃত মামলায় চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ ৯ নং বালিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জাহিদ খানকে আটক করেছে।
|আরো খবর
জানা যায়, গত বছরের ১১ নভেম্বর চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিন ৭৬ নং উত্তর বালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অগ্রনী ব্যাংক চাঁদপুরের সিনিয়র অফিসার মোঃ আলমগীর তপাদার। ঐদিন সকাল ১১ টার দিকে ফুটবল মার্কার মেম্বার প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে ৮০/৯০ জন সমর্থক প্রতিদ্বন্দ্বী মুরগী মার্কার সমর্থকদের উপর হামলা করে বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে সরকারি ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময়
প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারগন বাঁধা প্রদান করলে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের সাথে মারমুখি আচরন করে। পরে আইন শৃঙ্গলা বাহিনী পরিস্হিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে ব্যাপক সংঘর্ষের ও হামলার ঘটনা ঘটে এবং ভাংচুর হয়। এতে সরকারি কাজে বাধা প্রদান করা হয়।
শুধু তাই নয়, কর্মকর্তাদের উপর হামলা করে ব্যালট পেপার ও বাক্স ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে ১৩৪/ ১৮৬/৩৩২/৩৫৩/৩৪ ধারা মোতাবেক সরাসরি সরকারি কাজে বাঁধা ও সরকারি মালামাল ক্ষতি সাধনের অভিযোগ এনে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার আলমগীর তপাদার বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা রুজু করে।
উক্ত মামলার নামীয় আসামী হিসেবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁদপুর সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর ইন্টেলিজেন্স এন্ড অপারেশন এনামুল হক চৌধুরী ৩০ মে সোমবার দুপুরে নিজ এলাকা থেকে সঙ্গীয় ফোর্সসহ আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার জাহিদুল ইসলাম খান পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আত্মগোপনে থাকতো। উক্ত জাহিদ মেম্বারের বিরুদ্ধে এলাকা বাসীর ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে, কিছু দিন পূর্বে ঢালিঘাট এলাকার বাড়ির পুকুর পারে থাকা ইউনিয়ন পরিষদের বেশ কিছু গাছ কেটে নিয়ে যায় ।
পরে চেয়ারম্যান রফিকুল্যা পাটোয়ারী গাছ কাটার ঘটনা জানতে পেরে গাছ গুলো পরিষদে জমা দিতে বললে ঐ দিন রাতেই সেই গাছ পরিষদে পাঠিয়ে দেন। শুধু গাছ কাটা নয় গত কিছুদিন আগে জাহিদ মেম্বার তার এলাকার সরকারি খাল দখল করে বেশকটি দোকান নির্মাণ করে , মাটি সমবায় সমিতির নামে সাধারন মানুষের কাছ থেকে প্রতারনা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ক বছর আগে কোরবানির পশুর হাটে অবৈধ ভাবে পল্লী বিদ্যুতের খাম থেকে বিদ্যুত চুরি করে ব্যবহার করায় সেই মামলায় পর্যন্ত জেল খেটেছেন। চলতি বছরে জাটকা রক্ষায় জেলেদের বরাদ্ধকৃত সরকারি চাউল দেয়ার কথা বলে জেলেদের কাছ থেকে টোকেনের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। । যা পরবর্তিতে মৎস্য বিভাগ।ও উপজেলা প্রসাশন তদন্তে সত্যতা খুজে পেয়েছে।
এই ভাবে বহু অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। মেম্বারের গ্রেফতারের ঘটনায় এলাকাবাসী শোকরিয়া আদায় করেছে বলে এলাকার জনগণ সংবাদ কর্মীদের মুঠোফোনে জানান।