প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২২, ২০:৪৯
ফরিদগঞ্জে ভগ্নিপতির ছুরিকাঘাতে শ্যালকের মৃত্যু
গুরতর আহত ১
ফরিদগঞ্জে প্রকাশ্যে ভগ্নিপতি শাহাদাত হোসেন সর্দারের ছুরিকাঘাতে শ্যালক কামরুল হাছান রতন (৪০)-এর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে ছুরিকাঘাতের ঘটনার পর আহত রতনকে হাজীগঞ্জ উপেজেলা স্বাস্থ্য নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে । ঘটনাটি ঘটে ফরিদগঞ্জের সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের দিগধাইর গ্রামের সর্দার বাড়ির দোকানের সামনে। পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে বলে নিহত রতনের পরিবার দাবি করেছে। নিহত কামরুল হাসান রতন ঐ গ্রামের মৃত আবুল বাসারের ছেলে। অভিযুক্ত দুলাভাই শাহদাত সর্দার (৫১) একই গ্রামের মৃত আলী আহম্মদের ছেলে। এ ঘটনায় মোঃ জসিম উদ্দিন (৫৫) নামের অপর একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি গাজীপুর জেলার মধ্য খাইলপুর গ্রামের মৃত শরাফত হোসেনের ছেলে। তিনি নিহত কামরুল হাসান রতনের খালু।
|আরো খবর
অভিযুক্ত শাহাদাত সর্দারের স্ত্রী আনজুম আরা স্বপ্না উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, আমার স্বামী টাকা ও সম্পদের জন্যে আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে আমাকে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। আমার ও আমার সন্তানদের সুখের কথা চিন্তা করে আমার ভাইয়েরা তাকে সবসময় টাকা দিয়ে সহযোগিতা করছে। সর্বশেষ টাকার পাশাপাশি সম্পদের জন্যে আমার ভাইদের চাপ সৃষ্টি করতে থাকে সে (শাহাদাত)। এ নিয়ে বিরোধ সূত্রপাত।
স্বপ্না বেগম আরো বলেন, সম্পদ না পেয়ে আমার স্বামী ও তার ভাই-ভাতিজারা আমার ভাইদের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। এদিন মঙ্গলবার বিকেলে আমার ভাইকে (কামরুল হাসান রতন) একা পেয়ে আমার স্বামীসহ অন্যরা সবাই ছুরিকাঘাত করে মেরেই ফেলেলো। তিনি পুলিশের কাছে এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
শাহাদাতের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন শুভ জানান, টাকা ও সম্পদের জন্যে বাবা আমার মাকে যথেষ্ট শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। পাশাপাশি আমার মামাদেরও মানসিক নির্যাতন করতেন। তারপর মামারা আমার বাবা ও আমাদেরকে খুব সহযোগিতা করতেন। এ নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। যা সমাধানের লক্ষ্যে গত তিনদিন আগে আমরা ঢাকা থেকে বাড়িতে আসি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ গোলাম মাওলা বলেন, আমরা কামরুল হাসান রতনকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। অপর আহত জসিম উদ্দিনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্যে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিহতের মরদেহ পুলিশি হেফাজতে এবং ফরিদগঞ্জ থানায় বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।