প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৫৬
১০ বছর পর আদালত বুঝিয়ে দিলো পৈত্রিক সম্পত্তি
নওমুসলিম বিল্লাল হোসেন (৫৫)। নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে আদালতের দারস্থ হন প্রায় ১০ বছর আগে। আদালত সোমবার বিল্লাল হোসেনকে উক্ত সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয়। বিল্লাল হোসেন হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন কংগাইশ গ্রামের মালি বাড়ির মৃত মনমোহন দাসের ছেলে। দেওয়ানী মোকাদ্দমা (নং-৯৮/২০১১)।
|আরো খবর
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী উক্ত সম্পত্তি উদ্ধারে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় উদ্ধারকৃত সম্পত্তির চারপাশে সীমানা নির্ধারণ করে লাল পতাকা টানানো এবং একটি নির্দেশনা সাঁটানোসহ ঢাক পিটিয়ে দখল নির্ধারণ করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, হাজীগঞ্জের নির্দেশনায় তার পৈত্রিক ২.২৫ শতাংশ ভূমি উদ্ধারপূর্বক তাকে বুঝিয়ে দেন। সহকারী জজ আদালত চাঁদপুর-এর ৯৮/২০১১ মামলা রায়ের প্রেক্ষিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী (পুলিশ) ও এলাকার গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে নওমুসলিম মো. বিল্লাল হোসেনের ২.২৫ শতক জায়গা লাল পতাকা ও খুঁটি দ্বারা চিহৃিত করা হয়।
কেউ উক্ত লাল পতাকা ও খুঁটি ভেঙ্গে ফেলে বা উপড়ে ফেললে তা আদালত অবমাননার শামিল ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মোঃ বিল্লাল উপজেলাধীন ২৪০নং কংগাইশ মৌজার ৯৮৩ দাগে ১ আনা সাবেক নাল হালে ভিটি ৫৪ শতকের মধ্যে ২.২৫ শতাংশ জায়গা (ভূমি) মালিকানা ও ভোগদখল শুরু করেন।
মামলার বিবাদীরা হলেন: কুমিল্লা জেলার কোতায়ালী থানার বিষ্ণুপুর গ্রামের মোঃ সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী মোসাম্মৎ গুলনাহার বেগম, ছেলে নাজমুল হাসান, মেয়ে মোসাম্মৎ ফেরদৌস আক্তার ও রেনটি আক্তার, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন কংগাইশ গ্রামের মৃত কানাই চন্দ্র দাসের ছেলে সুমন চন্দ্র দাস ও বলাই চন্দ্র দাস, একই গ্রামের ক্ষিরোদ মোহন দাসের ছেলে নিখিল চন্দ্র দাস, মৃত ননী গোপাল দাসের ছেলে নির্মল চন্দ্র দাস।
টোরাগড় গ্রামের মৃত ইউনুছ মিয়ার স্ত্রী আমেনা বেগম, ছেলে মো. ইউসুফ ও মো. রফিক, একই গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে মো. শাহজাহান, আ. রবের স্ত্রী মোসাম্মৎ ফাতেমা বেগম, মৃত শের আলীর ছেলে মো. বাচ্চু মিয়া, মো. আমিন মিয়া ও আব্দুল লতিফ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) উপ-সহকারী প্রকৌশলী, হাজীগঞ্জ।